যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চোখ বিশ্বের

চলতি বছরের নভেম্বরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশটি। এর মধ্যে বর্ণবাদবিরোধী তুমুল বিক্ষোভে কেঁপেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ফের কি হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মার্কিন রাজনীতি অঙ্গনে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, সম্প্রতি এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলোতে ট্রাম্পকে পিছনে ফেলেছেন ডেমোক্র্য়াট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। যদিও ট্রাম্পের দাবি, গতবারের নির্বাচনের মতো এবারো সব প্রদেশে জিতব। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি ও কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ-এই দুই ঘটনায় রীতিমতো চিন্তায় ট্রাম্প শিবির।

যুদ্ধ, মহামারি আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আন্তর্জাতিক সংকটে বিশ্ব কি করবে, সেই সিদ্ধান্তের ওপর বিশাল প্রভাব থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের। সুতরাং চার বছর পরপর যখন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসে, তখন সেই নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি অনেক আগ্রহ থাকে। কিন্তু নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি অনেকে ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না।

৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অন্য অনেক দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র একটু আলাদা এই কারণে যে, এদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা মূলত প্রধান দুইটি দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং প্রেসিডেন্ট এই দুইটি দলের যেকোনো একটি থেকে নির্বাচিত হন। রিপাবলিকান পার্টি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল এবং এই বছর তাদের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশা করছেন, নির্বাচনে জিতে আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

রিপাবলিকান পার্টি আরো একটি নামেও পরিচিত। তা হলো জিওপি বা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সাম্প্রতিক সময়ে কম ট্যাক্স হার, বন্দুক রাখার অধিকার এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ডেমোক্র্যাট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে উদারনীতির রাজনৈতিক দল আর এই বছর তাদের প্রার্থী হলেন জো বাইডেন। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ বারাক ওবামার সময় ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে আট বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া অন্যান্য ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো- যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টিও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েও একজন বিজয়ী নাও হতে পারেন, যেমনটা ঘটেছে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে।

এখানে প্রার্থীদের ইলেক্টোরাল কলেজের সংখ্যাধিক্য ভোট পেতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার বিচারে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ফলে বিজয়ী প্রার্থীকে অন্তত ২৭০ বা তার বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে। এর মানে দাঁড়ায়, যখন কেউ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তিনি আসলে জাতীয়ভাবে ভোট দেয়ার বদলে বরং স্থানীয় বা রাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন।

দুইটি বাদে অন্য সবগুলো স্টেটের আইন অনুযায়ী, যে প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পাবেন, ওই স্টেটের সব ইলেক্টোরাল ভোট তার পক্ষে যাবে। বেশিরভাগ স্টেটের ভোটাররা উভয় দলের প্রার্থীদের প্রতি দোদুল্যমাণ থাকে। ফলে প্রার্থীদের এসব স্টেটের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হয়, যেখানে তাদের যেকোনো জনই বিজয়ী হতে পারে। এসব স্টেটকে বলা হয় যুদ্ধক্ষেত্র।

আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়া যায়। তবে অনেকগুলো স্টেটে আইন রয়েছে যেখানে ভোট দেয়ার আগে তাদের নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে হয়। মূলত রিপাবলিকরা এই আইন করেছে যারা বলছেন, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে এটি একটি রক্ষাকবচ। তবে ডেমোক্র্যাটরা একে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছে। কারণ অনেক সময় গরিব, সংখ্যালঘু ভোটারদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয় শনাক্তকরণ কাগজপত্র থাকে না।

বেশিরভাগ ভোটার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। তবে বিকল্প পদ্ধতি ভোট দেয়ার প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে। ২০১৬ সালে ২১ শতাংশ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মানুষ কীভাবে ভোট দেবে, এবার সেটা একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।

অনেক রাজনীতিবিদ আরো বিস্তৃতভাবে পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের জন্য আহবান জানিয়েছেন, যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এর ফলে বেশি জাল ভোটের সৃষ্টি হতে পারে- যদিও এই বক্তব্যের পক্ষে সামান্যই তথ্যপ্রমাণ আছে।
এবার নির্বাচনে সবার মনোযোগ থাকবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম জো বাইডেনের ওপর। কিন্তু ভোট দেয়ার সময় ভোটাররা কংগ্রেসের নতুন সদস্যদেরও নির্বাচিত করবেন।

হাউজের এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা, সেটা তারা ধরে রাখতে চাইবেন, পাশাপাশি সিনেটের নিয়ন্ত্রণও নিতে চাইবেন। যদি উভয় চেম্বারে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দেয়া বা দেরি করিয়ে দিতে পারবেন। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনে এই বছর নির্বাচন হবে। সেই সঙ্গে ৩৩টি সিনেট আসনেও ভোট হবে।

সবগুলো ভোট গণনা শেষ হতে বেশ কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। তবে নির্বাচনের পরের দিন সকালেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে ভোর রাত তিনটায় নিজের যুব সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বছরে হয়তো সবাইকে চূড়ান্ত ফলের জন্য আরো বেশি অপেক্ষা করতে হবে, হয়তো কয়েকদিন, এমনকি হয়তো সপ্তাহ- কারণ পোস্টাল ব্যালটের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।

সর্বশেষ ২০০০ সালে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল। প্রায় একমাস পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিদ্ধান্ত আসে।
বিজয়ী কখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন? জো বাইডেন যদি বিজয়ী হন, তাহলেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বদলে দায়িত্ব পাবেন না। কারণ নতুন নেতার জন্য মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই ও পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় রয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ২০ জানুয়ারি, যেটি অভিষেক অনুষ্ঠান নামেই বেশি পরিচিত। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের বাইরে এই অনুষ্ঠান হবে। ওই অনুষ্ঠানের পর নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং তার চার বছরের দায়িত্বভার শুরু করবেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন ও তার রানিং মেট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন অযোগ্য নেতা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্ত করে রেখেছেন। তারা দুইজনই তাদের নির্বাচনী প্রচারের প্রথম অনুষ্ঠানটি একসাথে করেছেন। এর আগে বাইডেন তার রানিং মেট হিসেবে কমলাকে প্রথম সামনে আনেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, কমলা তার নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে নুড়ি পাথরের মতো নিচে গড়িয়ে পড়বে।

বাইডেন নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন। ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে বুধবারের (১২ আগস্ট) এই নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠানটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিলো না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন। উভয় প্রার্থী মুখে মাস্ক পরে মঞ্চে উপস্থিত হন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরা একদল সাংবাদিকের মুখোমুখি হন তারা।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বলেছে, দুই প্রার্থীকে এক ঝলক দেখতে প্রচার অনুষ্ঠান শুরুর আগে হালকা বৃষ্টিতে প্রায় ৭৫ জন লোক বাইরে জড়ো হয়েছিল।

অ্যালেক্সিস আই ডুপন্ট হাই স্কুলের জিমনেসিয়াম থেকে বক্তব্য রাখার সময় বাইডেন বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হলেন প্রথম কোনো বর্ণের নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান একটি দলের হয়ে প্রেসিডেন্টের রানিং মেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, আমরা এই নভেম্বরে যাকে বেছে নেব, সেই নির্ধারণ করবে আমেরিকার অনেক দীর্ঘ সময়ের ভবিষ্যৎ। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে এসব বক্তব্যে জবাব দিতে শুরু করেছেন। কমলাকে জঘন্য বলে সম্বোধন করেছেন এবং কমালা তার নিয়োগকারীর দৃষ্টিতে কেমন, সেটা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। এটি অবাক হওয়ার কিছু নয় কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে ট্রাম্প সবচেয়ে ভাল ঘ্যানঘ্যান করেন। একজন নারী অথবা কোনো একটি বোর্ড জুড়ে থাকা শক্তিশালী নারীদের নিয়ে যে ট্রাম্পের সমস্যা আছে, এতে কি কেউ অবাক হয়েছেন?

ট্রাম্পের করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন, বেকারত্বের হার সামাল দেয়ার ব্যর্থতা ও তার বর্ণবাদী বক্তব্য ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে আক্রমণ করেন বাইডেন।


বাইডেনের পর কমলা মঞ্চে এসে বলেন, আমি কাজ করতে প্রস্তুত আছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কী হবে, সেটা নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের শিশুরা, আমরা যে ধরণের দেশে বাস করছি তার সবকিছুই এর সাথে যুক্ত।

এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের রানিংমেট কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসার সাংবিধানিক যোগ্যতা নিয়েও আলোচনা উসকে দিয়েছেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর জন্ম নেয়া কমলার বাবা জ্যামাইকান ও মা ভারতীয়। ডেমোক্র্যাট এ নারী সিনেটরের যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসার ‘সাংবিধানিক যোগ্যতা আছে কিনা’ সম্প্রতি মার্কিন এক আইনের অধ্যাপক এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

ভারতীয় ও জ্যামাইকান অভিবাসীর সন্তান ৫৫ বছর বয়সী কমলা আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য হাহাকার করছে, অথচ আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আছেন তিনি শুধু নিজের চিন্তায় আছেন। যারা তাকে নির্বাচিত করেছে তাদের দিকে খেয়াল নেই।।

তিনি বলেন, বারাক ওবামা ও জো বাইডেনের কাছ থেকে ইতিহাসের দীর্ঘতম অর্থনৈতিক প্রসার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন ট্রাম্প। এরপর তিনি, তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্ত কিছু সরাসরি মাটিতে ছুঁড়ে নষ্ট করেছেন। এমনই হয়, আমরা যখন এমন একজন ব্যক্তিকে বেছে নিই যিনি এই কাজের জন্য উপযুক্ত নন- আমাদের দেশকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে আমাদের খ্যাতিও বিনষ্ট হয়েছে।

এদিকে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন যেসব রাজ্যে- অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসালভেনিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকন্সিন। জো বাইডেনের জন্যে ভালো খবর হচ্ছে এসব রাজ্যে তিনি বড় রকমের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসব রাজ্যের অধিকাংশগুলোতেই ব্যাপক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এসব রাজ্যে এখন এগিয়ে গেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এখন এটাই দুশ্চিন্তার কারণ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //