করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিএস ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন

প্রথমদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলা হলেও ক্ষতিপূরণ পেতে মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. ওয়াহেদুর রহমান আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নানা কারণে প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। তবে মো. ওয়াহেদুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার সুস্থও হয়েছেন। তাই আক্রান্ত হলে যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা, সেটার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের কেউ আক্রান্ত হলে গ্রেডভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা টাকা। যদি সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তাহলে ক্ষতিপূরণ বাবদ এর পাঁচগুণ পাবেন। এ বিষয়ে গত ২৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. ওয়াহেদুর রহমানও আবেদনের তালিকায় রয়েছেন। এদিকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য এ খাতে চলতি বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দও রেখেছে অর্থ বিভাগ।

এদিকে গত ২৫ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দফতরের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে।

গত ২৬ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নাকচ করে দেন। সেদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পিএস, পিআরও বা কোনো কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত নন। এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’

কিন্তু সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. ওয়াহেদুর রহমান (উপসচিব) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তার নমুনা গ্রহণ করা হয় গত ২৪ মার্চ এবং ২৫ মার্চ রিপোর্ট প্রদান করলে তাতে কভিড-১৯ পজিটিভ আসে। তিনি পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান। আবেদনকারী ব্যক্তি করোনা রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি নিয়োজিত ছিলেন। কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত ছিলেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যখন বলেছিলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরের কেউ করোনায় আক্রান্ত নয়, তখন বিষয়টা গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সামাজিক মর্যাদা বা অস্থিরতার সৃষ্টি হবে, এটা ভেবে তখন খবরটা পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। তবে মন্ত্রীর পিএস করোনা পজিটিভ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নেগেটিভ হয়ে গেছেন। এ জন্য পিএস এর অনুকূলে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিএস ওয়াহেদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত ছিলাম। পরবর্তীতে ‍সুস্থ হয়েছি। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনও করেছি।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //