দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৪ জন মারা গেছেন। এর ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৮৪৭ জনে দাঁড়ালো।

এটিই একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ১৬ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৮২ জনের। এতে দেশে কভিড-১৯ এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ  ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে আরো ১ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা হলো ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বুলেটিনে ৬৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ হাজার ৮৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো সাত লাখ ৬৬ হাজার ৪৬০টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৬৮২ জনের মধ্যে।

তিনি আরো বলেন, নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে তাদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৫১ জন ও বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ সাতজন করে এবং দুইজন করে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের রয়েছেন।

ডা. নাসিমা বলেন, বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে- মৃত্যুবরণ করা সর্বোচ্চ ২১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ও তিনজনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেশে করোনভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৯১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ ও সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ। গত একদিনে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে ও ছাড় পেয়েছেন ৫৪৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ১৪৫ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ জন ও বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করে নাসিমা সুলতানা বলেন, গর্ভবতী মায়েদের জন্য সব সেবা চালু আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিকটস্থ হাসপাতাল থেকে তারা সেবা নিতে পারবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //