জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ পুলিশ-৩ সাক্ষী র‍্যাব হেফাজতে

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে এখনো অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়ার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিত কক্সবাজার জেলা কারাগারেই রয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। 

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের করা মমালার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিয়ে যাওয়ার জন্য র‌্যাবের একটি দল সকাল সোয়া ১০টার দিকে কারাগার থেকে রওনা দেয়।

তিনি বলেন, তবে এখন পর্যন্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিত কক্সবাজার জেলা কারাগারেই রয়েছেন। র‌্যাব জানিয়েছে তাদেরও সুবিধাজনক সময়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয়জনকে  আসামি করে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

এর আগে গত ২ আগস্ট বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সবাইকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ওসি প্রদীপকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

এরপর বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।