অ্যাম্বুল্যান্সেও জীবিত ছিলেন সুশান্ত: দাবি চালকের

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। বিস্ফোরক তথ্য জানালেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক অক্ষয় ভান্ডগর। 

সুশান্তের মৃতদেহ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তার দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় সুশান্ত জীবিত ছিলেন। 

একটি টিভি চ্যানেলে তিনি জানান, যারা সুশান্তের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে ফোন করেছিলেন তারা ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিলেন। তিনি দেখেছেন যে- সুশান্তের দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল। সাধারণত আত্মহত্যা করলে মৃতের শরীর পুরো হলুদ হয়ে যায় না বলেও দাবি করেন তিনি।

অ্যাম্বুল্যান্সের চালক অক্ষয়ের প্রশ্ন, যে মানুষ আত্মহত্যা করেছেন তার পা মোড়া থাকবে কেন? তিনি সুশান্তের পায়ের নানা জায়গায় থেঁতলে যাওয়ার মতো আঘাত দেখেছেন। আত্মহত্যা করলে এই দাগ কেন থাকবে? 

অক্ষয়ের এই বক্তব্য সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নিঃসন্দেহে উত্তাপ বাড়াল। তিনি জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে আত্মহত্যা করা বহু মানুষের মৃতদেহ তিনি দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই তার মনে হয়েছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়।

সুশান্তের মৃতদেহ নামিয়ে দিয়ে আসার পর থেকেই তিনি হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলে আগে মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। কে বা কারা তাকে হুমকি দিচ্ছেন, তা জানা না থাকলেও একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন করা হচ্ছিল তাকে। কয়েক দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন অক্ষয়। যেখানে তিনি দাবি করেন, সুশান্তের মৃতদেহ বহনের জন্য মুম্বাই পুলিশের তরফে ফোন করা হয় তাকে।

তবে নেটাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, সুশান্ত জীবিত জেনেও তিনি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না কেন? পুলিশও দেখেছিল, অভিনেতার আঙুল নড়ছে। তা সত্ত্বেও কেন তার মুখে চাদর চাপা দিয়ে দেয়া হল? শ্বাস নিতে যাতে আরো কষ্ট হয়? -আনন্দবাজার পত্রিকা

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //