রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার অস্বাভাবিক (২১) মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এ তরুণীকে।
রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা পুলিশ পরিদর্শক রোকন উদ্দিন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও থাকতেন মালিবাগের শান্তিবাগে। এদিকে, ময়মনসিংহের বাড়িতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা হয় রুম্পাকে।
এর আগে গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে রুম্পার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রুম্পার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকদের ধারণা, মৃত্যুর আগে ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ওপর থেকে পড়েই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ধর্ষণের পর রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি।
তিনি বলেন, যে ইনজুরিগুলো পেয়েছি, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে মারা গেছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে তার মৃতদেহ থেকে হাইভেজেনাল সপসহ ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। রিপোর্ট এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ জেলায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ওই তরুণীর পরিবার মৃতদেহের ছবি দেখে শনাক্ত করে।
পুলিশের রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক জানান, রুম্মার মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh