বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলার ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
মাজেদ গতকাল বুধবার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ আবরার হোসেন বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বলেন, তিনি প্রাণভিক্ষার একটি আবেদন দিয়েছেন। আমরা সন্ধ্যার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় আছি। আদেশ যাই হোক, আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি।
এদিকে রাতে বঙ্গভবনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রাণভিক্ষার ওই আবেদন পৌঁছানোর পর তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
জজ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় এসেছিল ২০০১ সালে। এরপর ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত রায় আসে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় বহু বছর আগেই পেরিয়ে যাওয়ায় আবদুল মাজেদ সে সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর ফলে একমাত্র সুযোগ বাকি ছিল সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া।
এখন তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকছে না। তবে দণ্ড কার্যকর করার আগে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের শেষবার দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়।
মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, চার মেয়ে ও এক ছেলে ঢাকা সেনানিবাসের এক নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকেন। যোগাযোগ করা হলে সালেহা বেগম বুধবার রাতে বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ তখনো তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। প্রাণভিক্ষার বিষয়টিও তারা টিভি দেখে জেনেছেন।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল মাজেদ জানিয়েছেন, তিনি ২০-২২ বছর ভারতের কলকাতায় পলাতক ছিলেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : শেখ মুজিবুর রহমান খুনি আবদুল মাজেদ প্রাণভিক্ষা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh