পাবনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ডের দশ টাকা কেজি চাল ইউনিয়নের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে এক হাজার পরিবারের কার্ডের তালিকা যা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত।

চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ডিলার সাইফুল ইসলাম, তার আত্মীয় শুকুরের নামে ডিলার দিয়ে যোগসাজশে ইউনিয়নে কিছু ভুয়া নামসহ প্রায় তিনশত কার্ডের চাল প্রকল্প চালু হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত আত্মসাৎ করে আসছে।

বর্তমানে দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে ত্রাণ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে তালিকা করতে গিয়া পূর্বের তালিকার জালিয়াতি ধরা পরে।

২নং ওয়ার্ডে তালিকার ক্রমিক নং ২০১ হতে ২৭৫ মোট ৭৫ জন কার্ডধারী, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৭৬ হতে ৪০০ জন মোট ২৫ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৫০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৯০ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২৫ জন।

ইউনিয়নে ১,০০০ (এক হাজার) কার্ডের মধ্যে ২৬৫জন বে-ওয়ারিশ কার্ড আছে। কার্ড অন্তর্ভুক্ত ৩০০ (তিনশত) লোক জানেই না তাদের নামে কার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া কোন মাসে ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে ১৫ কেজি চাল দিয়ে কার্ডে ৩০কেজি লেখে দেয়া হয়।

এইসব কার্ড ভুক্ত গরীব অসহায় দিনমুজুর ও কর্মহীনদের কার্ডের চাল চেয়ারম্যান যোগসাজশে মেম্বর ও ডিলারগণ চাল আত্মসাৎ করে আসছে।

এ ঘটনায় হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নের চাল থেকে বঞ্চিত জনগণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাদের নামের কার্ডের চাল আত্মসাতের কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনা মূল্যে ঘর দেয়ার প্রকল্পেও চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা নিয়েছেন কিন্তু এ পর্যন্ত ঘর দেয়া হয় নাই বলে অভিযোগ করেন।


হাটখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল রশিদ মাস্টার, ১নং-ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রাজকুমার বিশ্বাস ২নং-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলিম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক খোকন শেখ পাবনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

এদিকে হাটখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাহার আলী সেখ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রব, ফজলু সহ অনেকেই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এবং মেম্বর ও ডিলাররা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //