দীঘিনালায় দুই মাস ধরে অনুপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা!

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তবে সাধারণ ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতির নির্দেশনা থাকলেও খাগড়াছড়িতে তা মানা হচ্ছে না। জেলা সদরের কর্মকর্তা অফিস করলেও উপজেলা পর্যায়ে নজরদারি কম থাকায় অনেক কর্মকর্তায় বাড়ি বসে ছুটি কাটাচ্ছে। 

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম ওবাইদ দুই মাসের বেশি ধরে অনুপস্থিত। সাধারণ ছুটি আগে থেকেই তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এমনকি এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনও তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

জানা যায়, করোনার কারণে সাধারণ ছুটির আগেই ২৪ মার্চ নিজ বাড়ি রাজশাহীর উদ্দেশে পাড়ি জমান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সংবাদপত্রে সাধারণ ছুটির বিষয়ে জানতে পেরে তিনি বাড়ি চলে যান। এর দুই মাস সাত দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। ফলে খাদ্যশস্যসহ সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এই কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করলেও তিনি দায়িত্ব পালন করেনি। দায়িত্বে চরম অবহেলার কারণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। এছাড়া রবিবার (৩১মার্চ) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল করলেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনায় ক্ষুব্ধ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

অভিযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম উবাইদ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। দূরে হওয়ার কারণে আমি কর্মস্থলে ফিরতে পারিনি। এছাড়া সাধারণ ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে বাইরে থাকার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

তবে কবে নাগাদ তিনি কর্মস্থলে ফিরবেন তা-ও জানাতে পারেননি এই অভিযুক্ত কর্মকর্তা।

দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটির আগেই ২৪ মার্চ থেকে বাড়ি চলে গেছে। এমনকি তিনি বাড়ি যাওয়ার সময় কাউকে অবগত করেনি। এরপর দুই মাসের বেশি সময় ধরে তিনি কর্মস্থলে আসেনি। শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতির কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাধন চাকমা জানান, ‘দীঘিনালা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম দুই মাসের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে নেই। কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সচিব বরাবব চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //