চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুরে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আট মাসের অন্তঃসত্বা প্রতিবন্ধী তরুণী বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (৩ জুলাই) চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে তার অসহায় পরিবার।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর গ্রামের মিজি বাড়ির নাসির মিজির প্রতিবন্ধী কন্যাকে বাড়িতে রেখে, তার মা ভুলু বেগম চেয়ারম্যান কাশেম গাজীর বাড়িতে কাজ করতে চলে যেত। তার পিতা নাসির মিজি দিনমজুরের কাজ করে।
এই সুযোগে পাশের খান বাড়ির ওসমান খানের ছেলে নাছির খান (৩৫) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে কেউ না থাকলে তাদের ঘরে প্রবেশ করতো। ৮ মাস পূর্বে একা ঘরে প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্ক ধর্ষণ করেছে বলে তরুনীর মা ভুলু বেগম জানান।
তিনি বলেন, আমার দুই মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে ও সবার বড়। ৮/৯মাস পূর্বে আমি কাশেম চেয়ারম্যানের বাড়িতে কাজ করতে চলে যাই। এই সুযোগে পাশের বাড়ির উসমান খানের ছেলে বাড়িতে প্রবেশ করে আমার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করে। আমরা বিষয়টি রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে বুঝতে পারি।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওসমান খান আসেননি। বহুবার বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও আসামী পক্ষ না আসায় বসা হয়নি। পরে চেয়ারম্যান কাশেম খানের পরামর্শে চাঁদপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নাছির খানকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী তরুনী এখন তার গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে চায়। সে জানায়, তার মুখ চেপে ধরে নাছির খান বহু দিন তাকে ধর্ষণ করেছে। এ কথা যেন কাউকে না বলি সে জন্য হুমকি দেয়া হয়। তাকে বলা হয় এ কথা যদি তার পরিবারের কাউকে বলা হয় তাহলে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হবে। এ জন্য ভয়ে বিষয়টি সে প্রথমে কাউকে বলেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোবারক হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা মামলা রুজু করেছি। এখন আইনি পক্রিয়ায় বাকি কাজ চলবে।তবে প্রতিবন্ধী তরুণী যেভাবে সঠিক বিচার পায় সে ব্যবস্হা করবো।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh