ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের নির্দেশ

বিদেশি পাঠ্যক্রমে পরিচালিত দেশের ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোকে নিবন্ধন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও শিক্ষা বোর্ডগুলো এবং মাউশির নয়টি আঞ্চলিক উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

একইসাথে এই ধরনের নিবন্ধিত ও নিবন্ধনবিহীন কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, তার তথ্যও জানানো বলা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব (মাধ্যমিক) মোমিনুর রশিদ আমিন বলেছেন, ইংরেজি মাধ্যমের অনেক বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতেই এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত হতে হবে। আইন অনুসারে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিস্ট্রেশন করার সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের ফি কত সেটা অভিভাবকদের জানাতে হয়। কিন্তু এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের ফি নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযোগ পাওয়া যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে বিদ্যালয়গুলোকে নিবন্ধন যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সাধারণ শিক্ষা বোর্ড) কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক।

অভিযোগ আছে, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ই নিবন্ধন না করে নিজেদের মতো করে চলছে। এতে কোনো জবাবদিহি থাকছে না। আবার প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর প্রকৃত তথ্যও সরকারের হাতে থাকে না। 

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ একটি তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৪৫টি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সাড়ে ১১ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়ছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যাটি আরো বেশি। এসব বিদ্যালয়ের বিষয়ে ২০১৭ সালে একটি নিবন্ধন বিধিমালা হলেও সেটি প্রর্কৃতপক্ষে কার্যকর হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিধিমালার ১৯ (৩) ধারাটি মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিদ্যালয়ে সহপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা, কোনো বিশেষ সুবিধা ও উন্নত মানের যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি–সুবিধা ব্যবহারের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে, তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ ব্যয় বিবরণী অভিভাবকদের লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

নির্দেশনাপত্রে আরো বলা হয়েছে, সাময়িক নিবন্ধন আবেদন ফরমে প্রতি মাসে বা বছরে শ্রেণিভেদে আদায় করা টিউশন ফি, ভর্তি ফি, খেলাধুলা ফি, গ্রন্থাগার ফি, টিফিন ফি, মুদ্রণ ফি ও অন্যান্য ফির পরিমাণ ও বিবরণী উল্লেখ করার নিয়ম আছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //