সুন্দর দাঁত সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি

সুন্দর দাঁত মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশে যেমন জরুরি, তেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্য দাঁতের সুস্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বিষয়ে সচেতন হলেও দাঁতের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। অল্প বয়স থেকেই আমরা দাঁতের নানা সমস্যাতে ভুগে থাকি। এ ছাড়া, সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করার কারণেও আমরা নানা রকম দাঁতের সমস্যাতে পড়তে হয়। দাঁতের যত্নে কি কি করা উচিত সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো। 

নিয়মিত সঠিকভাবে দাঁতের পরিচর্যা না করার ফলে দাঁত নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সুস্থ দাঁতের জন্য নিয়মিত ২ বার এবং অন্তত ২ মিনিট ব্যয় করে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত, যাতে দাঁতে লেগে থাকা খাদ্যকনা খুব ভালোভাবে বের হতে পারে। না হলে এই খাদ্য কনা দাঁতের খুব ক্ষতি করতে পারে।

১. খাবার গ্রহণ করার পর অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ব্রাশ করা উচিত। যদি ৩০ মিনিট অপেক্ষা করা সম্ভব না হয় তবে খাবার খাওয়ার পূর্বে দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে খাবারে এসিডিক কম্পাউন্ড থাকলে খাওয়ার পর পর ব্রাশ করলে এই এসিডগুলো মুখের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

২. সবারই সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করা উচিত। ব্রাশটি ভালো মানের এবং নরম হওয়া উচিত। অনেকেই বছরের পর বছর ধরে একটি ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন, যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। নিয়ম হলো প্রত্যেক তিন মাস পর পর ব্রাশটি বদলে ফেলা।

৩. দাঁত ব্রাশ করার পর ব্রাশটিকে খুব ভালোভাবে ধুয়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। ব্রাশে ক্যাপ ব্যবহার করা উচিত। কেননা ব্রাশ খোলা অবস্থায় রেখে দিলে তেলাপোকা বা অন্যান্য পোকা মাকড় দ্বারা দূষিত হতে পারে।

৪. দাঁত ব্রাশ করার সময় সঠিক পরিমাণে ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। টুথপেস্ট কেনার আগে দেখে নিন টুথপেস্টে অন্তত ১৩৫০-১৫০০ পিপিএম ফ্লুরাইড আছে কিনা?

৫. শিশুদের বেবী টিথ উঠলে দাঁত ব্রাশ করে দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ২-৬ বছর বয়সীদের জন্য একটি মোটর দানা পরিমাণে টুথপেস্ট নেওয়া উচিত এবং খেয়াল রাখা উচিত যেন দাঁত ব্রাশ করার সময় টুথপেস্ট গিলে না ফেলে।

৬. প্রতি বছর অন্তত ২ বার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁতের চেকাপ করা উচিত। দাঁতের সুস্থতার জন্য অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড বেভারেজ খাওয়া এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৭. অনেকের পান, তামাক এবং জর্দা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। অনেক সময় মুখের ক্ষত বা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এই পান, তামাক এবং জর্দা। তাই, দাঁতকে সুস্থ রাখতে বাদ দিতে হবে অস্বাস্থ্যকর সব খাদ্য, পানীয় এবং ক্ষতিকর উপাদান।

৮. দাঁতের যত্নের পাশাপাশি, নিয়মিত সুষম পুষ্টিকর খাবার এবং দাঁতের জন্য জরুরি কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন : ভিটামিন-এ, সি, ডি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //