চাকরির জন্য এসএমএস পাবেন ৩৫ বছরের নিচের প্রার্থীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা নিরসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ অতিক্রম করেনি তাদেরকে এসএমএস পাঠিয়ে তারা চাকুরি করতে আগ্রহী কিনা- তা জানতে এনটিআরসিএকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে প্রার্থীরা আগ্রহী হলে শূন্য পদের বিপরীতে তাদেরকে পদায়নের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৯ জুন) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর চলমান সার্বিক কার্যক্রম অবহিতকরণ ও অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে সভায় এমন ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শূন্য পদ না থাকা/কাঠামো বহির্ভূত চাহিদা ইত্যাদি/ভুল তথ্য পাঠানোর কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেনি তাদের এসএমএস পাঠিয়ে জানতে হবে তারা সুপারিশপ্রাপ্ত পদে চাকুরি করতে আগ্রহী কিনা। তারপর আগ্রহী প্রার্থীদের ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত শূন্য পদের বিপরীতে পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এনটিআরসিএ।  

সুপারিশকৃত প্রার্থী গ্রহণে প্রতিষ্ঠানের যৌক্তিক অপারগতার ক্ষেত্রে বিকল্প প্রার্থী রাখার কোনো বিধান প্রচলিত আইনে সন্নিবেশন রাখার সুযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এনটিআরসিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।

সভায় আরে সিদ্ধান্ত হয়, সূচনালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সুপারিশকৃত প্রার্থীদের যোগদানে ব্যর্থতা/অপারগতার কারণসহ সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে তথ্য পাঠানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়ে প্রকৃত নিয়োগ প্রাপ্তিতে অসমর্থ্যদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রস্তুত করে প্রকৃত চিত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

 এতে আরো সিদ্ধান্ত হয়, মহিলা কোটা পূরণের বিষয়টি আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভুল তথ্যের কারণে মহিলা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিতকরণের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ভুল তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান/ব্যবসা শিক্ষা/ইংরেজি/আইসিটি) পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে প্রবর্তিত আর্থিক বছর অনুসারে এমপিওভুক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। সহকারী শিক্ষক (বাংলা)’র বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে মতামত নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালকবৃন্দ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।  

সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে সুপারিশকৃতদের মধ্যে ৬ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেনি তাদের এমপিওভুক্ত চূড়ান্তকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //