প্রখ্যাত সুরকার আলাউদ্দিন আলী আর নেই। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীশ কুমার চক্রবর্তী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দাফন-কাফনের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, তার পরিবার আছেন। তারা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। পরে জানা যাবে।
রবিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫.৩০মিনিটে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। বর্তমানে ইউনিভার্সেল মেডিকেলে তার মরদেহ আছে। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান : ১. একবার যদি কেউ ভালবাসতো ২. যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায় ৩. প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ৪. ভালোবাসা যতো বড় জীবন ততো বড় নয় ৫. হয় যদি বদনাম হোক আরো ৬. দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয় ৭. আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার ৮. সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরণী ৯. সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ১০. পারি না ভুলে যেতে স্মৃতিরও মালা গেঁথে ১১. আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা ১২. জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ আগস্ট) ভোর পৌনে পাঁচটায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন আলাউদ্দিন আলীর ছেলে শওকত আলী রানা গণমাধ্যম বলেন, শ্বাসকষ্টের তীব্র সমস্যা থাকায় চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন