পুলিশ সংস্কারে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগে সংস্কারের জোর দাবি উঠেছিল। টানা বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পুলিশি কর্মকাণ্ডে সংস্কারের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) তিনি এই স্বাক্ষর করেন। তবে পুলিশ তহবিল বন্ধ বা বিলুপ্তির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প।

এর আগে সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ বিভাগে এই সংস্কার মূলত পুলিশ কর্মকর্তাদের সহিংসতা ঠেকাতে দক্ষতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে করা হচ্ছে।

এই সংস্কারের মধ্যে থাকছে পুলিশের বিচক্ষণতা বাড়ানোর জন্যের বরাদ্দ বা অনুদান বৃদ্ধি ও কো-রেসপন্ডেন্ট সার্ভিস অর্থাৎ সমাজকর্মীদের সাথে জোট করে পুলিশ যেনো স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন বা মাদক সমস্যার সমাধান করার বিষয়ও থাকবে। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি ডাটাবেজও তৈরি করা হবে।

এই সংস্কার পুলিশকে জনসাধারণের আরো কাছে আনবে বলে জোর দিয়েছে হোয়াইট হাউস। 

দেশটির কংগ্রেসে পুলিশ বিভাগে আরো বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশি সংস্কার নিয়ে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট চেম্বারে পুলিশ বিভাগের সংস্কার বিষয়ক একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে যাতে চোকহোল্ড বা পুলিশের শ্বাসরোধ করার বিষয় ও শরীরের ক্যামেরার ব্যবহার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহর পুলিশের আরো আমূল সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ওই আদেশে সাক্ষরের পর বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, আন্টোন রোজ, বোথাম জিন ও আহমাদ আরবেরির স্বজনসহ  অনেক আফ্রিকান-আমেরিকান পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেছেন যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। তবে এসময় ট্রাম্পের সাথে ওইসব পরিবারের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। 

ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে পুলিশের সংস্কার নিয়ে চলতি মাসেই যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মামলা করা আরো বেশি সহজ হয়।

গত ২৫ মে মিনেসোটায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে টিয়ার গ্যাস গ্রেফতারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রেক্ষিতে পুলিশের সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। 

এ ঘটনার রেশ যেতে না যেতে গত শুক্রবার আটলান্টায় রেয়শার্ড ব্রুকস নামের এক আফ্রিকান আমেরিকান পুলিশের গুলিতে নিহত যান। -বিবিসি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //