৯৩ হাজারের বেশি প্রবাসী শ্রমিকের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ৯৩ হাজারেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানে অবৈধভাবে আছেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল রবিবার সংসদে এক প্রশ্রের উত্তরে এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি এম আবদুল লতিফের তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

মোমেন বলেন, এছাড়াও আরো অনেক দেশে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক পরিমানটা জানাতে পারছে না সরকার।

তিনি বলেন, আমিরাতে ৮০ হাজার, কুয়েতে পাঁচ হাজার, মিশরে চার হাজার, দক্ষিণ কোরিয়ায় আড়াই হাজার ও ইরানে দেড় হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বসবাস করছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পররাষ্ট্র নীতি ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রচেষ্টায় ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সে দেশে কাজ করার বৈধতা পাওয়ার জন্য ছয় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক আবেদন করেছে।

এই ছয় লাখের মধ্যে চার লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজ করার বৈধতা পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন মালয়েশিয়াতে বৈধতার জন্য আবেদনের কোনো সুযোগ নেই। মালয়েশিয়ার সরকার অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পরে গত পাঁচ মাসে ৫২ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ওই দেশ থেকে দেশে ফিরেছেন।

সৌদি আরবের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর সৌদি সরকার সেদেশে থাকা অবৈধ শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত আসার জন্য (স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রাম) ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে জেদ্দাতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি সরকারের ঘোষণা মেনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

আবদুল মোমেন বলেন, এ স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যে সব বাংলাদেশি শ্রমিক ফিরে এসেছেন তারা বৈধ ভিসা নিয়ে আবার সৌদি আরবে যেতে পারবেন। চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ঠিক কতজন শ্রমিকের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে তা জানা যাবে। -ইউএনবি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //