হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দুই বিচারকের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:২২ পিএম

হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট। পুরনো ছবি

হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট। পুরনো ছবি

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দুই বিচারকের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে মামলাটির ২১১ সাক্ষীর মধ্যে ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাঁদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

ওই বিচারকরা হলেন— নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এসএম মাসুদ জামান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ মাজহারুল ইসলাম।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির  সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। এরপর ৩০ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য করেন।

অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

অভিযোগপত্রে থাকা ৮ আসামি হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। বর্তমানে এই আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই সময় তাঁদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh