ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১২ পিএম
ছবি: ইন্টারনেট।
অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া দাওয়া করে না। বছরের পর বছর খাওয়া দাওয়ার এই অনিয়মের ফলে পিত্তথলিতে পাথর হয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের এই রোগ বেশি হয়। কারণ মেয়েরা খাওয়ার অনিয়ম বেশি করে।
জেনে নিন পিত্তথলীতে পাথর হলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং তা প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে:
লক্ষণ
১. পিত্তথলিতে পাথর হলে অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা হয় এবং তা ডান কাঁধে ছড়ায়।
৩. রোগীর বমি হয়।
৪. তৈলাক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার বা মাংস খেলে এ রকম ব্যথা হতে পারে। তবে গ্যাসের ওষুধ খেলে এটি ভালো হয়ে যায়।
৫. পেটের মাঝখানে ব্যথা হয়। পেটের মাঝখানে ব্যথা হয়ে একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।
৬. জ্বরের সঙ্গে জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো পাথর হয়তো পিত্তনালিতে চলে গেছে। সে জন্য জ্বর হয়ে কোলেনজাইটিস নিয়ে আসতে পারে।
পিত্তথলীর যেকোনো সমস্যা হলে আপনি কোনো প্রকার অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।
প্রতিরোধ
১. অধিক শ্বাসযুক্ত খাবার যেমন- শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি গ্রহণ।
২. অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে কমানো।
৩. ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২.৫-৩ লিটার পানি পান করা।
৪. অধিক পরিমাণ উদ্ভিজ্জ তেল বা ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ তেল গ্রহণ যেমন- সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল।
৫. অধিক প্রাণিজ চর্বি গ্রহণ এড়িয়ে চলা।
৬. নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম করা (প্রাপ্ত বয়স্কদের)।
৭. পিত্তথলির পাথর রোধ করতে হলুদ ভূমিকা রাখে। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপাদান। প্রতিদিন আধ টেবিল চামচ হলুদ গ্রহণ করাতে এ রোগের সম্ভাবনা ৮০% কমে যায়।
৮. পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে বিটরুট ও গাজরের জুস নিয়মিত খেতে পারেন। এটি দারুণ উপকার করবে।