মার্কিন কালো তালিকাভুক্ত চীনের ২৮ সংস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখোশ পরে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখোশ পরে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও তুর্কিভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানোর অভিযোগে চীনের ২৮টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছাড়া ওই সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কাছ থেকে পণ্য, পরিষেবা বা প্রযুক্তি কিনতে পারবে না।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের গত সোমবার প্রকাশিত একটি নথিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অত্যাচার’ চালায় ওই সংস্থাগুলো। সেই কারণেই এই ২৮টি সংস্থাকে ‘এনটিটি লিস্ট’ বা কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ, ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া মার্কিন কোনো সংস্থার কাছ থেকে এই চীনা সংস্থাগুলো কিছু কিনতে পারবে না। 

ওই নথিতে আরো বলা হয়েছে, এই সংগঠনগুলো চীনের দমন-পীড়ন নীতি, গণআটক ও উইঘুর, কাজাকস্তানের মতো মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারিতে চীন সরকারকে সাহায্য করে।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ৪৫ শতাংশ জনসংখ্যাই উইঘুর ও তুর্কিভাষী মুসলিম। চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ওই সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে কার্যত ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় গোটা বিশ্বই সরব। জাতিসংঘেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় একই অভিযোগ একাধিক মানবাধিকার সংগঠনেরও।

যদিও চীন সরকারিভাবে সেই ডিটেনশন ক্যাম্পগুরোর নাম দিয়েছে ‘ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার’। উগ্রপন্থা রুখতে ও এই জনগোষ্ঠীকে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতিতে শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো চালানো হয় বলে দাবি করে চীন।

কালো তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৯টিই চীনের সরকারি সংস্থা। জিনজিয়াং প্রদেশের পাবলিক সার্ভিস ব্যুরো তার মধ্যে অন্যতম। বেসরকারি সংস্থার মধ্যে রয়েছে হিকভিশন, দাহুয়া টেকনোলজি, মেগভি টেকনোলজির মতো সংস্থা, যারা মূলত মুখাবয়ব থেকে ব্যক্তি চিহ্নিতকরণের কাজ করে। হিকভিশন বিশ্বের অন্যতম বড় নজরদারি প্রযুক্তি ও পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh