নিয়মিত মধু খান

রুবানা শারমীন লোপা

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৪ পিএম

পাত্রভর্তি মধু। ছবি: জি নিউজ

পাত্রভর্তি মধু। ছবি: জি নিউজ

রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়: মধুতে আছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে দেহে রোগ বাসা বাঁধলে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। ফলে শরীরের ভেতরে ও বাইরে যে কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে।

হজমে সহায়তা : মধুতে থাকা শর্করা খাবার হজমে সাহায্য করে। এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিক কাজ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : মধুতে থাকা ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ভোরে ১ চা চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্লত্ব দূর হয়।

রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক : মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ এতে থাকে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময় : বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। কেউ কেউ মনে করেন, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি : হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু। গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি দিনে তিন বেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারেন।

পাকস্থলীর সুস্থতায় : মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এটা হাইড্রোক্লোরিক এসিড সংরক্ষণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা দূর হয়।

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে : মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে, ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে এবং মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে। ফলে ত্বক থাকে দীর্ঘদিন বার্ধক্যের ছাপ দূর হয়। রূপচর্চায় রোজকার ফেসপ্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন এক চা চামচ মধু।

ক্লান্তি দূর করে মধু : মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশির ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখে এনার্জিতে ভরপুর।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh