ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪১ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৯ এএম
কাঠের কফিনে সংরক্ষিত মমিগুলো তিন হাজার বছরের পুরনো। ছবি: রয়টার্স
মিশরের দক্ষিণাঞ্চলীয় লুক্সর শহরে একসঙ্গে ৩০টি মমি আবিস্কার হয়েছে। কারুকাজ করা কাঠের কফিনে সংরক্ষিত মমিগুলো তিন হাজার বছরের পুরনো। শিগগিরই সেগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে মিশরের সরকার।
মিশরের প্রাচীন নগরী লুক্সরের একটি কবর খুঁড়ে এসব কফিনের সন্ধান মিলেছে। এই ঘটনাকে ১৮০০ সালের পরে মানব কফিনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কফিনগুলোতে ধর্মগুরু বা যাজক, তাদের পরিবার ও শিশুদের দেহ মমি করে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০ শতকে তাদের সমাধিস্থ করা হয়। তখন ২২তম ফারাওয়ের রাজত্ব চলছিল।
কফিনগুলোর ভেতর আর বাইরে- দুই অংশেই রয়েছে নিপুণ কারুকাজ। সেগুলোর অবিকল রং কিংবা স্পষ্ট লিখন এখনো কীভাবে অক্ষত রয়েছে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণের শহর লুক্সর মিশরের ইতিহাস আর প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে গুপ্তধনের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। তবে আল-আসাইফের দুই স্তর বিশিষ্ট কবরে এত বড় আবিস্কার সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত। সবশেষ ১৮৯১ সালে একসাথে এমন অনেকগুলো কফিনের সন্ধান মিলেছিল।
কফিনগুলোকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপর সেগুলোকে পাঠানো হবে গিজাতে অবস্থিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘরে। ২০২০ সালে সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিশর তাদের প্রাচীন সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভাটা পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্প। এসব আবিষ্কার খাতটিকে আবার চাঙ্গা করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। -ডয়চে ভেলে