রাজধানীর নদীর তীরে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয়ে সাবধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০২:২৬ পিএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:১৭ পিএম

রাজধানী ঢাকার চারদিকে নদীর তীরবর্তী হাউজিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এ অনুরোধ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকার চারপাশের নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে অভিযান পরিচালনা করছে। বিআইডব্লিউটিএ ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদীর ১৭ হাজার ৯০১টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে প্রায় ৬৬৯ দশমিক ১৮ একর নদীর ভূমি উদ্ধার করেছে।

এ অপসারণ কাজ পরিচালনার সময় লক্ষ্য করা গেছে, বহু বেসরকারি হাউজিং সোসাইটি নদীর জায়গা দখল করে লিজ গ্রহিতাদের প্রতারিত করে প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বরাদ্দ করেছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার ফলে প্লট গ্রহীতারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

তাই নদী তীরবর্তী এ ধরণের হাউজিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে প্রতারিত না হতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক হাউজিং কোম্পানি নদীর জমি দখল করে প্লট বা ভবন তৈরি। আমিন-মোমিন হাউজিং, অনির্বাণ, আকাশ-নীল, সিলিকন সিটি, বসিলা হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং, একথা হাউজিং, ঢাকা উদ্যান, মধু সিটি, আফসানা হাউজিং নদীর জমি ভরাট করে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, এ ধরনের হাউজিং থেকে অনেকে প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রতারিত হয়েছেন।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh