ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২৪ এএম
কবি শামসুর রাহমান।
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৯১তম জন্মদিন আজ। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরানো ঢাকার মাহুতটুলির ৪৬ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস বর্তমান নরসিংদী জেলায়। দীর্ঘ ৭৭ বছরের বর্ণময় জীবনে তিনি নিমগ্ন ছিলেন কবিতা সৃজনের মোহে ও অনুরাগে। তিনি একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার।
তার কবিতায় শুধু স্বাধীনতাই নয়, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, প্রেম, দ্রোহ, বিশ্বজনীনতা সবই উঠে এসেছে। পঞ্চাশ দশক থেকে বাঙালি জাতির নানা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক জীবনের অসঙ্গতি, ব্রিটিশ ও পশ্চিমাদের শোষণের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কণ্ঠ কবিতায় নির্মিত হয় এক অনন্য বাক-প্রতিমা। এ জন্য তাকে স্বাধীনতার কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। এ কাব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আবেগ ও প্রত্যাশা প্রাধান্য পেয়েছে তার রচিত 'বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২)' কাব্যগ্রন্থে। এ কাব্যের মাধ্যমে তিনি কবি খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ‘মজলুম আদিব’ ছদ্মনামে কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন। এ কাব্যের অধিকাংশ কবিতা মুক্তিযুদ্ধকালে অবরুদ্ধ সময়ে রচিত। এ কাব্যটি ১৯৭১ সালের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ গ্রন্থে ৩৮ টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ’স্বাধীনতা তুমি’।
শামসুর রাহমানের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৬৬টি। কবিতা ছাড়াও তিনি প্রবন্ধ, অনুবাদ নাটক, শিশুতোষ লেখা লিখেছেন।
গুণী এ কবি ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট পরলোকগত হন। একনিষ্ঠ সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, জীবনানন্দ পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার, মিতসুবিসি পুরস্কার (সাংবাদিতার জন্য), স্বাধীনতা পদক ও আনন্দ পুরস্কার অর্জন করেন।