ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪০ এএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৯ এএম
ছবি: বেভারস ডেন্টিস্ট্রি।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে হয়। নয়তো অল্প বয়সে দাঁতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সামান্য অযত্নেও দ্রুত দাঁত নষ্ট হয়। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়া উচিত সবসময়।
জানুন যেভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন তা সম্পর্কে:
দাঁত ব্রাশ
প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন। রাতে ঘুমানার আগে দাঁত ব্রাশ না করলে আপনার দাঁত ভালো থাকবে না।
ব্রাশ যেমন হবে
সব সময় নরম ফাইবারযুক্ত একটি টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। শক্ত ফাইবারযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। একটি টুথব্রাশ ছয় মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না। তবে তিন মাস পরপর ব্রাশ পরিবর্তন করা ভালো।
যতক্ষণ ব্রাশ করবেন
দাঁত পরিস্কার করা ও মাড়ি সুস্থ রাখাই দাঁত ব্রাশ করার প্রধান উদ্দেশ্য। ওপরের দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের দাঁত নিচ থেকে ওপরের দিকে ব্রাশ করুন। মোটামুটি দুই থেকে তিন মিনিট কার্যকর দাঁত ব্রাশ দাঁতের যত্নে যথেষ্ট। অধিক সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার দরকার নেই।
টুথপেস্টের ব্যবহার
কোনো টুথপেস্টেই দাঁতের জন্য দরকারি সব উপাদান থাকে না। তাই দুই মাস পর পর টুথপেস্টের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করুন। দাঁত শিরশির করলে সেনসোডিন নামক টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। যদিও ফ্লোরাইড দাঁতের জন্য উপকারি, তবুও আপনার পান করা পানিতে যদি ফ্লোরাইডের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। দাঁত ব্রাশ করার সময় যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে জেল জাতীয় টুথপেস্ট ব্যবহার না করাই উত্তম।
ডেন্টাল ফ্লসিং
ফ্লসিংয়ের মাধ্যমে সূক্ষ্ণ খাদ্যকণা যা ইন্টারডেন্টাল স্পেসে জমে থাকে তা পরিস্কার হয়ে যায়। যাদের দাঁত আঁকাবাঁকা তাদের ক্ষেত্রে ফ্লসিং করা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত দুই ধরনের ডেন্টাল ফ্লস দেখতে পাওয়া যায়। ওয়াক্সড এবং আনওয়াক্সড। পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
দাঁত ভালো রাখতে আরো যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা হলো
১. মিষ্টি জাতীয় সকল প্রকার খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, ব্রেড, বিস্কুট ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
২. কোমল পানীয় ও কার্বোনেটেড বেভারেজ এড়িয়ে চলুন।
৩. দাঁতের সুস্থতায় টক জাতীয় ফল যেমন আমড়া, কামরাঙা, পেয়ারা ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খেলেও টক ফলের এসিড এনামেলের ক্ষতি করে।
৪. দাঁত ভালো রাখতে চুইংগাম চিবাতে পারেন।
৫. প্রচুর পানি পান করুন। কারণ পানি দাঁতের কোণায় জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করতে সাহায্য করে।