ভারতের সর্বত্র বিক্রি হবে ওয়ালটনের তৈরি পণ্য

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম

ওয়ালটন ও রিলায়েন্সের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

ওয়ালটন ও রিলায়েন্সের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

বিশ্বব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে একের পর এক মাইলফলক অর্জন করে চলেছে ওয়ালটন। 

ইনোভেটিভ ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও গুণগতমানে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বের স্বনামধন্য ব্র্যান্ডগুলো এখন ওয়ালটন তথা বাংলাদেশমুখী। নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। 

এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিশাল বাজারে ওয়ালটনের তৈরি পণ্য বাজারজাত করবে সে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘রিলায়েন্স রিটেইল লিমিটেড’। এ বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে ওয়ালটনের কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদার হলো রিলায়েন্স। 

রিলায়েন্স কর্তৃপক্ষের মতে, ওয়ালটনের পণ্য আন্তর্জাতিকমানের। ক্রেতাদের হাতে বাংলাদেশে তৈরি গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার মাধ্যমে ভারতের কনজ্যুমার ইলেট্রনিক্সের বাজারে শক্ত অবস্থানে চলে আসবে ওয়ালটন ও রিলায়েন্স। সেই লক্ষ্যে দেশটিতে শিগগিরই একটি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি) সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়ালটন। 

এদিকে রিলায়েন্সের মতো ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য নেয়ার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি রিলায়েন্স ও ওয়ালটনের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি বা এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম ও রিলায়েন্সে রিটেইল লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চীফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) কৌশল নেভ্রেকার। 

সেসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম ও পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, রিলায়েন্স রিটেইল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স বিভাগের সোর্সিং হেড অভিজিৎ রনেসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিকধাপে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফ্রিজ, টিভি ও এয়ার কন্ডিশনার নিচ্ছে ‘রিলায়েন্স’। এছাড়া ওয়ালটনের ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ধরণের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসও নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

ভারত বিশ্ব ইলেকট্রনিক্সের অন্যতম একটি বৃহৎ বাজার। দেশটিতে বার্ষিক ১৫ মিলিয়ন ফ্রিজ, ১৪ মিলিয়ন টিভি ও সাড়ে ৬ মিলিয়ন এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা রয়েছে। রিলায়েন্স সেদেশের সর্ববৃহৎ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স রিটেইলার। ভারতজুড়ে ৬ হাজার ৬’শ শহরে তাদের প্রায় ১১ হাজার আউটলেট রয়েছে।

কৌশল নেভ্রেকার বলেন, ভারতে ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্সের বার্ষিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে। বিশাল সম্ভাবনাময় এই বাজারের সিংহভাগ মার্কেট শেয়ার অর্জনের লক্ষ্যে ওয়ালটনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে রিলায়েন্স। ভারতের কনজ্যুমার ইলেট্রনিক্সের বাজারে ওয়ালটন ও রিলায়েন্স শক্ত অবস্থানে চলে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের ক্রেতাদের পছন্দ, অভ্যাস, রুচি ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাঁর প্রত্যাশা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছানোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতের বাজারেও অন্যতম শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হবে রিলায়েন্স ও ওয়ালটন। সেই লক্ষ্যে ভারতে শিগগিরই একটি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি) সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়ালটন। 

ওয়ালটনের আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড কিম জানান, ওয়ালটনের টার্গেট এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে বিশ্ব বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। তাই নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ওইএমের (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) মাধ্যমে বিজনেস ভলিউম বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতনামা হুন্দাইয়ের পাশাপাশি ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড রিলায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে ওয়ালটন। আমাজনের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য নেয়ার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। 



সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh