ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৫ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫০ এএম
লেবাননের তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: ডয়চে ভেলে
রুগ্ন অর্থনীতি ও ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেবাননের বিক্ষোভ তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সমাধান নেই। বিক্ষোভকারীদের চাপে স্তব্ধ রাস্তা ও জনজীবন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত ১৭ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেই থেকে ঘটনা গড়ায় প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরির পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত। বর্তমানে লেবাননের রাজধানী উত্তপ্ত নতুন ক্যাবিনেট গড়ার দাবিকে সামনে রেখে।
দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়ানো, দুর্নীতি ও প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে ঘিরে বর্তমানে বিক্ষোভকারীরা বন্ধ করে রেখেছে বৈরুতের সব বড় রাস্তা। প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য শহরেও।
দেশটির বর্তমান মন্ত্রিসভা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নতুন, স্বচ্ছ ক্যাবিনেট চেয়ে পথে নেমেছে মানুষ। বিক্ষোভকারীদের একজন হাশিম আদনান। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবাদ ততদিন চলবে যতদিন না নতুন ক্যাবিনেট তৈরি করা হচ্ছে।’
১৯৭৫-১৯৯০ পর্যন্ত দেশে ছিল গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক পতন। ব্যাপক মূল্যস্ফীতির ফলে কমেছে লেবানিজ পাউন্ডের দাম। বর্তমান লেবানন বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত দেশ। বিশ্ববাজারে প্রচুর দেনাও রয়েছে তার। এই সমস্ত দাবি ঘিরেই জ্বলছে লেবানন।
আন্দোলনের ফলে এই নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ বন্ধ দেশটির সব স্কুল-কলেজ।
বৈরুত ও অন্য শহরের বিক্ষোভে তরুণদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সেন্টার লেবানিজ স্টাডিজের ঘিয়া ওসেইরান বলেন, এই অবস্থা নিয়ে তরুণরা হতাশ হয়ে পড়েছে তাই তারা রাজপথে নেমেছে। তাদের মূল দাবি রাজনৈতিক সংস্কার। কিন্তু সামাজিক ন্যায়বিচারও তাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মৌলিক অধিকার ও কর্মসংস্থান।
সরকার বলছে, শিগগিরই শুরু হবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা। কিন্তু এখনো তা শুরু হয়নি। -ডয়চে ভেলে