ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৪৯ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ০২:২৮ পিএম
ফাইল ছবি
তুরস্কে প্রায় এক হাজার ৩০০ বিদেশি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য বন্দি রয়েছেন। এদের অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
তাদের ফিরিয়ে না নেয়ায় সেসব দেশের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লু বলেছেন, ‘আমরা কোনো দেশের আইএস সদস্য রাখার জন্য হোটেল নই।’
তিনি গতকাল সোমবার বলেন, ‘আমাদের কাছে যারা আছে তাদের আমরা ফেরত পাঠাবো কিন্তু ওইসব দেশ এখন নতুন খেলা খেলছে, তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নিচ্ছে’।
ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘তারা বলছে আইএস যোদ্ধাদের যে দেশে ধরা হয়েছে সেই দেশে বিচার করতে হবে। আমার ধারণা এটা নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক আইন। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা আমাদের হাতে থাকা আইএস সদস্যদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাবো, তাতে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হোক বা না হোক।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর ফাহরেতিন আলতুন তুরস্কে আটক ২০ জার্মান আইএস সদস্যকে জার্মানিতে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জার্মানির দৈনিক ‘স্টুটগার্টার নাখরিশটেন'-এ গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের সহযোগীদের পুরো সহযোগিতা প্রয়োজন ‘
তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর হাতে প্রায় ১১ হাজার আইএস সদস্য বন্দি রয়েছেন। তাদের উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গেছে।
ইউরোপের দেশগুলো এখনো পর্যন্ত আইএসে যোগ দেয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে অনীহা দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক তোপের মুখে পড়ার ভয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ার জটিলতা ও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় আইএস সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে না দেশগুলো।
এছাড়া নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও যুক্তরাজ্য দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা আইএস সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিংবা তাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। -ডয়চে ভেলে