নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২৮ এএম
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দুই নারীকে হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদাসহ (২২) পাঁচ আসামির প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- বাসার ম্যানেজার মো. গাউসুল আযম প্রিন্স (৪২), সিকিউরিটি গার্ড মো. নুরুজ্জামান (৪২), রুবার স্বামীর বডিগার্ড বাচ্চু (৩৪) ও ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. বেলায়েত হোসেন (৩২)।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম এ আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি সুরভী আক্তার নাহিদা অপর আসামিদের যোগসাজশে জোড়া খুন ও লুণ্ঠনের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এটি একটি চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর মামলা। এ খুনের সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই জোড়া খুন ও লুণ্ঠন কার নির্দেশে হয়েছে? প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করাসহ মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ একান্ত জরুরি।
রাষ্ট্রপক্ষে থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আশরাফ ও আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, একা কাজের মেয়ের পক্ষে জোড়া খুন করা সম্ভব নয়। এ খুনের নেপথ্যে আরও অনেকেই জড়িত আছেন। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অপরদিকে আসামি প্রিন্স ও নুরুজ্জামানের পক্ষে আইনজীবী রিয়াজ মাহমুদ ও মো. রেজাউল করিম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
শুনানিতে তারা আসামিদের নির্দোষ দাবি করেন এবং শত্রুতাবশত তাদের আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর আদালত আসামিদের কাছে তাদের নাম ও কী করেন- তা জানতে চান। সব আসামিরা- তারা কী কাজ করেন তা আদালতকে জানান। এ সময় সুরভী শুধু নামই বলেন। আদালতে কিছু বলার আছে কিনা- তা জানতে চাইলেও তিনি (সুরভী) জবাব দেননি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নাকচ করে রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।