প্রতিনিধি, ঝালকাঠি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:০১ পিএম
শিশু ও মালপত্র নিয়ে বিষখালী নদীর তীরবর্তী লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ঝালকাঠিতে থেমে থেমে ধমকা বাতাস ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিষখালী নদীসহ অন্য নদীগুলোর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার সকল রুটে নৌযান চলালচ বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিলেও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে যাচ্ছে না নদীতীরের মানুষ। সুপার সাইক্লোন বুলবুল মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ৭৪টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নদী তীরবর্তী জনসাধারণকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ায় জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষ তুলনামূলক খুবই কম আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
জেলায় পাঁচটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সকরারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা ও ৩৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে জরুরি সেবাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, রেডক্রিসেন্ট ও এনজিওর এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সারাদিন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হলেও শনিবার দুপুর থেকে মাঝারি ও ভাড়ি বর্ষা শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে কারণে রোপা আমন ধান পড়ে গেছে, এতে ক্ষতির শঙ্কা করছে কৃষকরা। পরিবেশ অনেকটা সিডর পূর্ববর্তী সময়ের মতো মনে হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, জেলে ও শ্রমিকরাসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কয়েকজন আশ্রয় নেয়া নদীতীরের মানুষ জানান, অনেকে পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে এখনো মাছ ধরছে, অনেকে আবার পরিস্থিতি দেখে ও দুপুরের পর আশ্রয় কেন্দ্রে আসবেন।
ইউএনও সোহাগ হাওলাদার জানান, ঘুর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, ইতোমধ্যে নদী তীরের ঝুকিপূর্ণ এলাকার অনেক লোক আশ্রয় নিয়েছে এবং বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রাখার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।