ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৭ এএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫২ পিএম
কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, সম্পাদক ও অনুবাদক বুদ্ধদেব বসু।
কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, সম্পাদক ও অনুবাদক বুদ্ধদেব বসুর ১১১তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার জন্মমুহূর্তে ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তার মা বিনয়কুমারী। এরপর পুলিশ অফিসার পিতা চিন্তাহরণ সিংহ স্ত্রীর শোকে সন্নাসব্রত গ্রহণ করে ঘর থেকে বের হয়ে যান।
বুদ্ধদেব বসু ছিলেন অসম্ভব মেধাবী একজন মানুষ। নোয়াখালিতে ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ার পরে ঢাকায় এসে কিশোর বুদ্ধদেব বসু ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে।
ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েটে মেধা তালিকায় প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান পান আর্টস বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে বিএ অনার্স প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং এমএ পরীক্ষাতেও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান পান।
পরবর্তী সময়ে স্ত্রী লেখক প্রতিভা বসুকে নিয়ে কলকাতায় স্থায়ী হলেও বুদ্ধদেব বসুর লেখায় ঘুরে ফিরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শহর ও পদ্মা পারের গল্প।
বুদ্ধদেব বসু সাহিত্যের শিল্পমূল্যের ব্যাপারে ছিলেন আপসহীন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশকে আবিস্কার এবং প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে সবচেয়ে বেশী অবদান রেখেছেন বুদ্ধদেব বসু।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে মর্মবাণী, বন্দীর বন্দনা, পৃথিবীর পথে, কঙ্কাবতী, দময়ন্তী, দ্রৌপদীর শাড়ি, শ্রেষ্ঠ কবিতা, শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর, পরিক্রমা, কালো হাওয়া, তিথিডোর, নির্জন স্বাক্ষর, মৌলিনাথ, নীলাঞ্জনের খাতা, পাতাল থেকে আলাপ, রাত ভর বৃষ্টি, গোলাপ কেন কালো, বিপন্ন বিস্ময় ইত্যাদি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালের ১৮ই মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।