ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:১১ পিএম
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিলের (সিএবি) নতুন খসড়া তৈরির জন্য উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সব দল-সংগঠনের সঙ্গে দুইদিন ধরে দফায়-দফায় আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পাশাপাশি ওই বিলের বিরুদ্ধে দিনভর বিক্ষোভ-মিছিল চলে আসামের বিভিন্ন স্থানে।
পশ্চিমবঙ্গে তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ধাক্কা খাওয়া এবং উত্তর-পূর্বে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলোর চাপে এই অধিবেশনেও বিল না-আনার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে বিল আনার ব্যাপারে অবশ্য এখনো অনড় অমিত।
নেডা জোটের চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, বিল ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পার্লামেন্টে পাশ হবে।
কংগ্রেসের মতে, বিল পাশ হচ্ছেই ঘোষণা করে দেয়ার পরে আলোচনার নাটক অর্থহীন। তাই প্রদেশ কংগ্রেসের কোনো নেতা অমিতের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেননি। এমপি জয়রাম রমেশ গুয়াহাটিতে বলেছেন, ওই সংশোধনী সংবিধানের ১৪ ও ২১ ধারার পরিপন্থী। দেশের আসল সমস্যা থেকে মানুষকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখতেই সংশোধনী এবং এনআরসিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি।
উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যেই এখন বিজেপি বা তার জোট শরিকদের শাসনাধীন। কিন্তু সংশোধনী নিয়ে রাজ্যগুলোতে প্রতিবাদ তুঙ্গে। জোট শরিকরাও বিল মানতে নারাজ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ‘বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অ্যাক্ট’-এর অধীনে ইনারলাইন পারমিট চালু রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে। আলোচনার ভিত্তিতে আপাতত সংশোধনীর আওতা থেকে এই তিন রাজ্যকে বাদ রাখা হতে পারে। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরার ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত ও জনজাতিদের স্বশাসিত পরিষদের শাসনাধীন এলাকাগুলোও সংশোধনী থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। -আনন্দবাজার পত্রিকা