নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৩৪ পিএম
ব্যাংকের ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজই (রবিবার) সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। এই বেকারত্ব কমাতে হলে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদনশীল খাতকে বাঁচাতে ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো সুদহার এক অঙ্কে নামেনি কেন এবং খেলাপি ঋণ দিন দিন কী কারণে বাড়ছে, সেটা তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটি সিদ্ধান্ত জানাবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
কমিটিতে কারা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, কমিটিতে একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা হতে পারে মোট সাতজন।
দেশের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা দেয়া হয়েছিল কিন্তু হাইকোর্ট সেটাতে স্থগিতাদেশ দেয়ায় ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা নিতে পারেনি। তাই এ কোয়ার্টারে খেলাপি বেড়েছে। তবে বর্তমানে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ অবশ্যই কমবে।
মোস্তফা কামাল বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে শুরু থেকেই আমরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারিনি। এ কারণেই সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুদহার বৃদ্ধি পেলে একটি দেশের উৎপাদনশীল খাত, শিল্প খাত উন্নত হতে পারে না। এ মুহূর্তে যেকোনোভাবে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জিডিপি কমলেও আমাদের দেশের জিডিপি কমার কোনো ভয় নেই। কারণ, আমাদের দেশের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কখনো কমবে না, বরং বাড়বে।
অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে খেলাপি ঋণ বিক্রির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে খেলাপি ঋণ বিক্রিসহ কয়েকটি প্রক্রিয়া বিবেচনাধীন রয়েছে। যেগুলো ক্যাবিনেটে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে খেলাপি ঋণ বিক্রির বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে।