আকিব হৃদয়
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৬ এএম
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
১৬ বছর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় কর্মরত কনস্টেবল জানে আলমকে (৩৬) ক্লোজড করা
হয়েছে।
খোঁজ
নিয়ে জানা যায়, এর আগে কনস্টেবল জানে আমল আরো দুটি বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী চট্রগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায়
বসবাসকারী দুই সন্তানের জননী নার্গিস আক্তার পপি। বর্তমান স্ত্রীকে না
জানিয়ে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছেন।
এ
ব্যাপারে জানে আলমের স্ত্রী নার্গিস আক্তার পপির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি
জানান, আমার স্বামী আমাকে না জানিয়েই তৃতীয় বিয়ে করেছে। এর আগে
আমাকে যখন বিয়ে করেছিলো তখনো আমি জানতাম না সে বিবাহিত। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারি।
তিনি
বলেন, কারো কাছে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে জানে আলম। এসব
ব্যাপারে আলোচনা করলে নাকি তার চাকরি চলে যাবে। তাছাড়া জানে আলম আমাকে নানানভাবে
হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে খুব শিগ্গিরই এ
ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেব।
এ
বিষয়ে জানে আলম বলেন, মেয়ে ক্লাস টেনে পরে তাতে কী হয়েছে। এইটা ল কভার করে।
কীভাবে ল
কভার করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অভিভাবকের সম্মতিতে ধর্মীয় রীতি মেনেই
হয়েছে। মেয়ের বয়স
১৬ হলেই ল কভার করে বিয়ে করা যায়।
বাল্যবিয়ে
করার ক্ষেত্রে পুলিশের শাস্তি কী হতে পারে এসব বিষয়ে কথা হয় কিশোরগঞ্জের পাবলিক
প্রসিকিউটর (পিপি) শাহ আজিজুল হকের সাথে। তিনি বলেন, কোনো মেয়ের বয়স যদি ১৮ না হয়
তবে কোনোভাবেই তার বিয়ে দেয়া যাবে না। যদি বিয়ে
হয় তাহলে সেটা বাল্যবিবাহ বলে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে জানে আলম যেটি করেছে সেটি
অবশ্যই বাল্যবিয়ে। এই অপরাধে যদি মামলা হয়, তাহলে আদালতের রায়ের পর তিনি চাকুরিচ্যুত
হতে পারেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার বলেন, কনস্টেবল জানে আলমের বিষয়টি আমি শুনেছি। এজন্য ইতোমধ্যে তাকে আমরা কিশোরগঞ্জ মডেল থানা থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছি। কনস্টেবল জানে আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।