আসামের এনআরসির তথ্য ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ গায়েব

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১২ এএম | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৩ এএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভারতের আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) তথ্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে।

গত বছরের ৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ওই তালিকা দেখা যেত। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে সেই তালিকা আর দেখা যাচ্ছে না।

এনিয়ে আসামের একটা বড় অংশের মানুষদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বিশেষ করে যে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গেছে, তাদের মধ্যে। গুজব রটে, সরকার এই তালিকাকে মান্যতা না দিয়ে তা উড়িয়ে দিয়েছে।

এনআরসি নিয়ে তৃণমূল স্তরে কাজ করেন এমন একজন সমাজকর্মী শাহজাহান আলি বলেন, হঠাৎ করেই এনআরসির তালিকা আর ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। এটা কেন হল, সেটাও স্পষ্ট নয় বেশিরভাগ মানুষের কাছেই।

এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক হিতেশ দেব শর্মা বলেছেন, এটি একটি কারিগরি সমস্যা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই হিতেশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ক্লাউড স্টোরেজে এই বিপুল পরিমান তথ্য রাখা ছিল উইপ্রো সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তির ভিত্তিতে। সেই চুক্তি গত বছর অক্টোবর মাসে শেষ হয়েছে। এর আগে যিনি সমন্বয়ক ছিলেন, তিনি ওই চুক্তি পুনর্নবায়ন করেননি। তাই ১৫ ডিসেম্বর থেকে ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ওই সংস্থাটি। আর আমি দায়িত্ব নিয়েছি ২৪ ডিসেম্বর।

তিনি আরো বলেন, উইপ্রোর সাথে তাদের বৈঠক হয়েছে এই সমস্যা নিয়ে এবং তাদের আশা কয়েকদিনের মধ্যেই আবারো এনআরসির পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখা যাবে ওয়েবসাইটে।

এদিকে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, মা-বাবা বা সন্তানদের নাম এনআরসিতে না থাকলেও তাদের পরস্পরের কাছ থেকে আলাদা করা হবে না। বাদ পড়া শিশুদের তালিকা পৃথকভাবে তৈরি হয়নি। এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেয়ারও ব্যবস্থা হয়নি।

এর আগে জানুয়ারি মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, এনআরসির ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’এও রয়েছে, মা-বাবার থেকে সন্তানদের জোর করে পৃথক করা যাবে না। 

অন্যদিকে সাবেক এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে অসম সিআইডি-র কাছে এফআইআর জমা দিয়েছে এক বেসরকারি সংগঠন আসাম পাবলিক ওয়ার্কস। 

এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় কারচুপি, তথ্য বদল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা, মিথ্যা নথি জমা দেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাইবার অপরাধ ও সরকারি নথিতে বদল ঘটানোর অভিযোগে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। - বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh