ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২০, ১২:৩৮ পিএম
প্রতীকী ছবি।
একটি মৃত জ্যোৎস্নার গল্প
জ্যোৎস্নাটি দুলে উঠেছিল পাম গাছের শীর্ষে
সে রাতে একটি কুকুর ও একজন লোক
হাঁটছিল, রাস্তাজুড়ে কেবল আলো ছিলো
জ্যোৎস্নার।
পাশের ডাস্টবিনে কখন পড়ে ছিলো পুরনো
ব্যাগ, পুরনো ছেঁড়া কিছু কাপড়, কিছু উচ্ছিষ্ট
আধ খাওয়া মাংস- সে মাংসের গন্ধ পেয়েছিলো
দূরের বেঞ্চে শুয়ে থাকা একটি ক্ষুধার্ত মানুষ
তার পরনেও ছিল ছেঁড়াখোড়া পাতলুন, গা ছিলো
আধখোলা হাফহাতা শার্ট বোতামের ঘর হা করা
সেই লোকটিই গিয়ে খুঁজে পায়- একটা মাংসের পোটলা
অথচ পথ দিয়ে যেতে থাকা লোকটি কুকুরটিকে ডাক দিয়ে
বলেছিল- ড্যানি, ড্যানি- যাও, যাও, কেড়ে নাও...
কুকুরটি দৌড়ে গিয়ে ছোঁ মেরে নিল আধ-খাওয়া মাংস
আর ছেঁড়া পাতলুন পরা লোকটি চেয়ে রইল...
জ্যোৎস্না তখন ক্রমশ কমে আসছিলো।
নদীতীর
পাড়ের থেকে নদীটি দেখতে দেখতে
এক সময় পাড়ে বসে রইল সে।
মাছ ধরা একটি নৌকার মাঝি
দারুণ উৎসাহে মাছেদের খাবার দিচ্ছিলো
যেন মাছের দল আসে ধেয়ে সেই খাবারের
উদ্দেশ্যে।
মাঝি আর মাছেদের দেখতে দেখতে ক্লান্ত
সে উঠে পড়ল এক সময়, কিন্তু মাঝি উঠলো না।
মাঝি তার মাছ ধরার জাল ফেলল পানিতে-
বিরাট কিছু পড়েছে ভেবে মাঝি নাচতে লাগলো
আনন্দে গাইতে লাগল- সে দেখলো না
হয়তো মাছেরাই দেখছিলো,
তারপর জালের সাথে এক ঝাঁকুনিতে
উঠে এলো বিরাট মানুষখেকো হাঙ্গর।
ভাষান্তর : ফারাহ আবেদ