ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২০, ০২:৩১ পিএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ফের সতর্ক করল মার্কিন প্রশাসনকে।
চীন ও ইতালির পরে মহামারির মতো করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে তাদের পরামর্শ, এখনই করোনা রোধে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
যুক্তরাষ্ট্রে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৮২ জনের। আক্রান্ত প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ। দেশের প্রতিটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। লকডাউন ঘোষণা হয়েছে বেশ কিছু অঞ্চলে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এখনো সম্পূর্ণ লকডাউনের রাস্তায় যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে চীন ও ইতালির চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। বস্তুত চীন ও ইটালি দু'টি দেশই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার পরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, সংক্রমণ ছড়ানোর মুহূর্তেই যদি তাকে আটকে দেয়া যেতো, তাহলে সম্ভবত পরিস্থিতি খানিকটা হলেও সামলানো যেতো।
ইতালির ছবি এতটুকুও বদলায়নি। সোম ও মঙ্গলবার মৃত্যুর হার খানিকটা কমলেও বুধবার ফের তা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৭৪৩ জনের। যার জেরে এখনও পর্যন্ত শুধু ইতালিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ৮২০।
এদিকে ভয়াবহ পরিস্থিতি স্পেনেও। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, ইতালির পরে স্পেনই হতে চলেছে করোনাভাইরাসের পরবর্তী কেন্দ্রবিন্দু। শুধু মঙ্গলবারই স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৫১৪ জনের। এখনো পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় দুই হাজার ৭০০ জনের। আক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। স্পেনের প্রশাসন করোনা মোকাবিলার জন্য ন্যাটোর সাহায্য চেয়েছে।
ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাত থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। যদিও গত রবিবার থেকেই দেশের অধিকাংশ রাজ্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই ভারতের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত নিউজিল্যান্ডও গোটা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী একমাস এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
অস্ট্রেলিয়াও আরো কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে সেখানকার প্রশাসন জানিয়েছে।
এরই মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল জি২০ বৈঠকে বসছেন বিশ্ব নেতারা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। বুধবার টুইট করে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়েই মূলত আলোচনা হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে। আলোচনা হতে পারে করোনার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা নিয়েও। -ডয়চে ভেলে