ওরস বন্ধ করতে বলায় দুই পুলিশকে পিটিয়ে জখম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০, ১১:২৬ এএম

বগুড়ায় একটি মাজারের ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন ওই মাজারের অনুসারীরা।

বুধবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গোয়ালগাড়ী এলাকায় শাহ্ ছেরাজুল হক চিশতীর মাজার প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার এবং ২০ জন মাজার অনুসারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো ২৫ মার্চ ওই মাজারের ওরস আয়োজনের খবর জেনে তারা কয়েকদিন ধরেই মাজার কমিটিকে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার অনুরোধ জানান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বুধবার দুপুরেও পুলিশ সদস্যরা মাজারে গিয়ে ওরস আয়োজন বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু গণজমায়েতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় আড়াইশো মানুষ ওই ওরসে সমবেত হন।

বিষয়টি জানার পর রাত ৯টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপপরিদর্শক জাহিদুর রহমান মাজারে গিয়ে আবারো ওরস বন্ধের অনুরোধ করলে মাজার অনুসারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। তারা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, রাত ১০টার দিকে সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাজার থেকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

মাজার অনুসারীদের মারধরে তাদের দু'জনই হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। পরে মাজারের বিভিন্ন কক্ষ থেকে আটক করা হয় ২২ জন পুরুষ অনুসারীকে। এদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের সাবেক দুই কমিশনার নুরুল আমীন ও শফিকুল ইসলাম নয়নও রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ওসি আরো জানান, শাহ্ ছেরাজুল হক চিশতী বগুড়ার ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের বাবা। ২০০৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গাজীউল হক এই মাজারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেছেন।

পরবর্তীতে তার ছেলে রাহুল গাজী এই মাজারের দেখভাল করতে শুরু করেন। ঘটনার পর থেকেই রাহুল পলাতক রয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh