ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০, ১১:৩৪ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০, ১১:৩৮ এএম
সদরঘাট। ছবি: স্টার মেইল
করোনাভাইরাসের প্রভাবে রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা হলেও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে জনবহুল এই শহর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৯২। যার অর্থ এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ও উত্তর মেসিডোনিয়ার স্কোপি যথাক্রমে ১৯৭ ও ১৭২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থদের বাড়ির ভেতরে ও অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদফরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। -ইউএনবি