হান্তাভাইরাস কী? এর লক্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০, ০১:০০ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে না কমতেই চীনে হান্তা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যায়।

হান্তাভাইরাস কী?

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, হান্তাভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম (এইচপিএস) মানুষের শ্বাসযন্ত্রে তীব্র, কখনো কখনো মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে।

তবে এটা করোনাভাইরাসের মতো বায়ুবাহিত রোগ নয়। এই ভাইরাস ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। ইঁদুরের মূত্র, লালা বা মলের সাহায্যে মানুষ হান্তাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

সিডিসি বলছে, এর কোনো প্রমাণ নেই যে, করোনাভাইরাসের মতো মানুষ থেকে মানুষে হান্তাভাইরাস ছড়াবে। তবে কেউ যদি ইঁদুরের মূত্র বা বাসা বাঁধার উপকরণ ছুঁয়ে আসার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে তাহলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।

হান্তাভাইরাসের লক্ষণ

হান্তাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে,

১. ক্লান্তি

২. জ্বর ও পেশীতে ব্যথা অনুভব করা

৩. উরু, পিঠ ও কাঁধের মতো বড় পেশীতে ব্যথা অনুভূত হওয়া

৪. মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, ঠান্ডা ও পেটের সমস্যা

৫. বমি ও ডায়রিয়া

৬. তীব্র শ্বাসকষ্ট।

হান্তাভাইরাসের উৎপত্তি

অনেকের ধারণা হান্তাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। কিন্তু না, এর উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি অঞ্চলে হান্তাভাইরাসের উৎপত্তি। অঞ্চলটি আরিজোনা, নিউ মেক্সিকো, কলারোডা ও উতাহকে ভাগ করেছে, যা ফোর কর্নারস নামে পরিচিত।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হান্তাভাইরাস সম্পর্কিত কোনো খবরে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এটা নতুুন কোনো ভাইরাস নয়। এ ভাইরাস আগে থেকেই আছে। করোনাভাইরাসের মতো বিস্তার রোধে হান্তাভাইরাসের ক্ষেত্রেও সবাইকে বাসায় থাকতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh