ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২০, ০৯:২৪ এএম
কবে কোন দেশে প্রথম লাটিম খেলার প্রচলন ঘটে তা বলা মুশকিল। বাংলাদেশে এই খেলাটি কিশোরদের জন্য খুব জনপ্রিয়। প্রথম প্রথম সুতার মিস্ত্রি বা কাঠমিস্ত্রিরা গাব আর পেয়ারার কাঠ দিয়ে তৈরি করতো। এখন বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হয়।
কাঠের গোলকটির সূচারু মুখে লোহার শলা বা পেরেক গেঁথে দেয়া হয়। পাটের আঁশ কিংবা গেঞ্জির ফিতা দিয়ে লাটিম ঘোরানোর সুতা বানানো হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার লাটিম খেলার নেশা ছিল। দারুণ মজার খেলা এটি। আমরা দলবেঁধে খেলতাম। লাটিম নিয়ে ভরদুপুরে ঘুরে বেড়াতাম। সুতা লাটিমের ওপর থেকে নিচে গোলাকারভাবে পেঁচানোর পর হাতের তর্জনী ও বৃদ্ধ আঙুল ব্যবহার করে মাটিতে ছুড়ে মারলে লাটিম দুরন্ত বেগে ঘুরতে থাকে।
তিন ধরনের লাটিম খেলা চোখে পড়ে। এক. ‘ঘুরতি কোপ’। ঘুরতি কোপ খেলায় একজন ব্যক্তিকে চোর নির্ধারণ করা হবে এবং তার লাটিমটি ঘোরাতে বলা হবে। নির্ধারিত সীমানার ভেতর ঘুরতে থাকা লাটিমটিকে অন্যান্য প্রতিযোগিরা নিজেদের লাটিম ঘুরিয়ে, কোপ মেরে সীমানার বাইরে আনতে পারলেই লাটিমটি তার হয়ে যাবে।
দুই. ‘ঘর কোপ’। ঘর কোপ খেলায় প্রতিযোগী সবার একটি করে লাটিম নির্দিষ্ট একটি সীমানা বা ঘরের ভেতর রাখা হবে। নিজেদের ঘুরতে থাকা লাটিমের আঘাতে যে যতটি পারে লাটিম বাইরে আনতে পারবে এবং সবগুলো তার হয়ে যাবে।
তিন. ‘বেল্লা পার’। বেল্লা পার খেলায় প্রতিযোগী সবাই নিজেদের লাটিম একসাঙ্গে ঘোরাতে থাকবে। যার লাটিম পরাজিত হবে, তার লাটিমটিকে দাগ কেটে একটি গণ্ডিতে আটকে রাখা হবে। তারপর স্বাধীনভাবে অন্যরা লাটিম ঘুরিয়ে যদি গণ্ডি থেকে লাটিমটি বের করতে পারে, তাহলে সেটি তার হয়ে যাবে।
কারো লাটিম যদি গণ্ডির ভেতর ঘুরতে থাকে এবং গণ্ডি থেকে বের হতে না পারে, তাহলে সেই লাটিমটি আটক থাকবে, আগের চোর লাটিমটি মুক্তি পাবে।