ইয়ারা যোহারীন
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২০, ১১:৩৮ এএম | আপডেট: ২৩ মে ২০২০, ১১:৩৯ এএম
যদিও ঈদ সবার জন্য, খুশিটা যেন সবচেয়ে বেশি বাচ্চাদের, করোনার এই সময়ে এ এক অন্যরকম ঈদ পালন করতে যাচ্ছি আমরা, বড়রা বেশির ভাগই সচেতন এবং শপিংয়ে যাচ্ছেন না। অনেকে বলছেন বাচ্চারা নতুন কাপড়ের বায়না ধরছে, তাই শিশুদের নিয়েই ছুটছেন কেনাকাটায়; কিন্তু এই সময়টা বাচ্চাদের বোঝানোর সঠিক সময়, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা ও ভালোবাসা, তাদের স্নেহের সঙ্গে বোঝাতে হবে এবার কিছু না কিনলেও ঈদ করা সম্ভব এবং আগামীতে অনেক ঈদ আসবে যখন আমরা আবার বাইরে যেতে পারব।
যদি তারপরও শিশুরা বায়না ধরেই, তাহলে অনলাইনের সহায়তা নিন। অনলাইনে বাচ্চাদের জন্য পোশাক অর্ডার করাই যায়, বিশ্ব রঙসহ অনেক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অনলাইন শপিংয়ে ছাড়ও দিচ্ছে, শিশুর জন্য অনলাইন শপিংই এবার ভরসা। বাচ্চারা দ্রুত বড় হয় বলে ওদের পুরনো কাপড় খুব একটা থাকে না অন্যদের দিয়ে দেওয়া হয়, ওদের দিয়ে ওদের পুরনো পোশাক দান করতে পারেন পথশিশুদের জন্য, যাদের কাছে পোশাকটা নতুনই, এতে আপনার সন্তান নতুন এক শিক্ষা গ্রহণ করে আনন্দে মেতে উঠবে।
ঈদের দিন বাচ্চারা নানান রকমের খাবারের বিশেষ করে রেস্টুরেন্টে যেতে চাইবে। তাই ঈদের আগের দিন ওদের অংশগ্রহণে তৈরি করে ফেলুন ফ্রুট কেক কিংবা পুডিং, বার্গার বানানো ও শেখাতে পারেন। এতে করে তাদের উৎসাহ বাড়বে, আইসক্রিম কাস্টার্ড এ জাতীয় ঠান্ডা খাবারগুলো থেকে বিরত রাখুন তাদের।
ঘরেই চিকেন ফ্রাই, পাস্তা এ ধরনের পছন্দের খাবার রাখতে পারেন, ঈদের প্রস্তুতিস্বরূপ ওদের চুল কেটে দিতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শেখাতে হবে, যেহেতু তারা খুব কৌতূহলি তাদের ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে দিতে হবে করোনাকালীন সব সতর্কতা ও প্রত্যেকের করনীয়, বোঝাতে হবে এ সমস্যা সাময়িক, ঈদের দিন গোসল করিয়ে তাদের সুন্দর করে প্রস্তুত করে দিতে হবে, কন্যাশিশুরা সাজতে চায় তাই একটু নেলপলিশ লিপস্টিকের ছোঁয়া দেওয়াই যেতে পারে রাজকন্যাদের।
তবে তাদের বোঝাতে হবে অতিরিক্ত মেকাপ স্কিনের জন্য ক্ষতিকর এবং দৃষ্টিকটু, ঘরে থাকা হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন আপনার সোনামণির চুল, আগের দিন তারা শখ করে মেহেদি পরবে তবে তা কেমিক্যাল ফ্রি হলে পরাতে পারেন।
ঈদের দিন সবাইকে সালাম জানানো এবং সালামি পাওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে, নতুন টাকার জোগান না হলে তাদের বোঝাতে হবে এবং টাকা ধরে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাত ধুতে হবে সেনিটাইজার দিয়ে, ঘরোয়া কিছু খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে দারুণ আনন্দে কাটবে ঈদ। এবারের ঘরোয়া ঈদ মঙ্গলবার্তা বয়ে আনুক, শিশুরা ঘরের প্রদীপ, এঞ্জেলস্বরূপ। তাদের আনন্দে শান্তি ও সমৃদ্ধিময় হোক প্রতিটি পরিবারের করোনাকালীন ঈদ।