ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ০৫:৪২ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২০, ১২:০৯ পিএম
মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহীদুল ইসলাম পাপুল।
শনিবার (৬ জুন) কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি কাজী পাপুল নামে সবার কাছে পরিচিত।
রবিবার (৭ জুন) কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিআইডি তাকে (কাজী পাপুল) গ্রেফতার করেছে বলে সকালে জানতে পেরেছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
তবে পাপলুর বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে কুয়েতে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুখাই আলী জানান, মুশরিফ আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর ব্লকে নিজ ভাড়া বাসভবন থেকে কাজী পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়।
অবশ্য তার স্ত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম এ খবর অস্বীকার করে ইংরেজি গণমাধ্যম টিবিএসনিউজকে বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি মহল এই গুজব প্রচার করছে।
কুয়েতের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করেছে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ। বাংলাদেশের এমপি কাজী পাপলুর নামও এই তালিকায় ছিল। কুয়েতে বিরাট ব্যবসা রয়েছে তার। মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে কুয়েতেই অবস্থান করছেন তিনি।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়েতে মানবপাচারের সাথে পাপলুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কুয়েতের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির নিরাপত্তা বিভাগ বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে খুঁজছে যার অবৈধ ভিসার ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তার কোম্পানি যাতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পায় সেজন্য বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন।
এদিকে কুয়েতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক পত্রিকা আল-কাবাস জানিয়েছে, অর্থপাচার ও মানবপাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। গ্রেফতার ওই ব্যক্তি তিনজনের একটি গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্য দুই সদস্য আগে থেকে বিপদ আচ করতে পেরে দেশ থেকে পালিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিন ব্যক্তি দেশটির বড় বড় তিনটি কোম্পানির অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে গেছেন। বিনিময়ে ৫ কোটি দিনারেরও বেশি আদায় করেছেন তারা।