গত বছরের আগস্টে উহানে করোনাভাইরাসের সূত্রপাত: গবেষণা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ১২:১৪ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২০, ১২:১৫ পিএম

উহানের তিয়ানউ হাসপাতালের গাড়ি পার্কিয়ের অক্টোবর ২০১৮ (বাঁ দিক) ও অক্টোবর ২০১৯’র স্যাটেলাই ইমেজ

উহানের তিয়ানউ হাসপাতালের গাড়ি পার্কিয়ের অক্টোবর ২০১৮ (বাঁ দিক) ও অক্টোবর ২০১৯’র স্যাটেলাই ইমেজ

হাসপাতালে রোগীর যাতায়াত বেড়ে যাওয়া ও করোনার উপসর্গ সম্পর্কিত বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজির কারণে গবেষকরা মনে করছেন, চীনের উহানে করোনাভাইরাস সম্ভবত ২০১৯ সালের আগস্ট থেকেই ছড়াতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও হার্ভাড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের প্রাথমিক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। 

যদিও নতুন গবেষণাপত্রটি পিয়ার রিভিউ জার্নালে এখনো প্রকাশিত হয়নি।

পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়া এই করোনাভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের হুনান সিফুড মার্কেটে প্রথম শনাক্ত হয়। কিন্তু পরে বিশেষজ্ঞরা জেনেটিক পূর্বপুরুষের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের মধ্য নভেম্বরে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার কথা বলেন।

সরকারি তথ্যের উল্লেখ করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বরে ফিরে গেলে কভিড ১৯-এর একজন রোগীও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এলাইন নসেসির নেতৃত্বে বোস্টন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উহানের ১১১টি স্যাটেলাইট ইমেজ ও চীনা সার্চ ইঞ্জিন বাইদুতে কভিড- ১৯ এর উপসর্গ সম্পর্কিত তথ্য খোঁজাখুঁজি বিশ্লেষণ করে।

তারা বলছেন, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে উহান হাসপাতালের পার্কিং লটে অবিশ্বাস্য রকম ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিনে করোনার সুনির্দিষ্ট উগসর্গ কাশি ও ডায়রিয়া বিষয়ে খোঁজাখুঁজি চোখে পড়েছে।

গবেষকরা বলছেন, এর আগের ফ্লু মৌসুমে ডায়রিয়া নিয়ে এতো খোঁজাখুঁজি করা হয়নি। আর এ ডায়রিয়া কমিউনিটি ট্রাসমিশনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বলে তারা মনে করছেন।

ডায়রিয়া ও কফের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জাগুলো করোনারোগীদের অন্যতম লক্ষণ হওয়ায় গবেষকদের দাবি, উহানে আগস্ট থেকে করোনা সংক্রমণের সূত্রপাত হয়েছে।

তবে গবেষকরা বলছেন, যেসব ডাটা তারা ব্যবহার করেছেন তার সাথে করোনার সম্পর্কে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি। কিন্তু তাদের গবেষণা চীনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাসটি ছড়ানোর ধারণাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই গবেষণা প্রত্যাখ্যান করা হয়। তারা এটিকে ‘অত্যন্ত অর্থহীন’ বলে দাবি করছে।

করোনাভাইরাস গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে এটি চীন ছাপিয়ে বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করে। 

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৮৮ দেশ ও অঞ্চলে কভিড–১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। এর সংক্রমণে ইতিমধ্যে বিশ্বে চার লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh