সে‌প্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ শোধে ছাড়

কিস্তি না দিলেও খেলাপি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২০, ১০:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৬ জুন ২০২০, ০৯:৪১ এএম

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না। ওই সময় পর্যন্ত ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।

আজ সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

এর আগে করোনার কারণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই সময় আরো তিন মাস বর্ধিত করা হয়েছে।

এর ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ সে‌প্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এ সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারির নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ওই ঋণ/বিনিয়োগ তার চেয়ে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

এতে আরো বলা হয়, এই নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিদ্যমান মেয়াদী (স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) ঋণ/বিনিয়োগসমূহের বিপরীতে ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো ডেফার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে অক্টোবর ২০২০ হতে সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে। পুনঃনির্ধারণকালে জানুয়ারি ২০২০ হতে সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ১ জানুয়ারি হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ের কোন কিস্তি পরিশোধিত না হলেও উক্ত কিস্তিসমূহের জন্য মেয়াদী ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা কিস্তি খেলাপী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক:

১. বিদ্যমান চলমান ও তলবী ঋণ/বিনিয়োগ এবং ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে সৃষ্ট তলবী প্রকৃতির ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ/সমন্বয়ের তারিখ বিদ্যমান মেয়াদ হতে নয় মাস বা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

২. এই সুবিধা চলাকালীন ঋণ/বিনিয়োগের উপর সুদ/মুনাফার হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে। তবে ওই সময়ে ঋণ/বিনিয়োগের উপর কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না।

৩. কোনো গ্রাহকের উল্লিখিত সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধসূচী অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ সমন্বয় করা যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh