ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২০, ০২:৩১ এএম
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলেও এখনো নীরব রয়েছে চীন। সংঘাতে দেশটির সৈনিকদের মধ্যে কতোজন হতাহত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করেনি বেইজিং।
এদিকে, বুধবার (১৭ জুন) চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি এবং পিএলএ ডেইলি-র যে সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যার কোনও উল্লেখ নেই। এমনকি গ্লোবাল টাইমসেও সংঘাতের খবর ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে তাতেও হতাহতের সংখ্যার উল্লেখ নেই। এদিকে, নয়াদিল্লি জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে আর চার জন সৈনিকের অবস্থা সঙ্কটজনক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিতর্কিত জম্মু ও কাশ্মিরের লাদাখে চীনা সেনাদের সাথে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে দুটি সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে এটিই প্রথম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী নেপালের সাথে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনা ও দেশের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এ সমালোচনার মুখেই আছে মোদি সরকার।
এদিকে, ভারত নিয়ন্ত্রিত বিতর্কিত জম্মু-কাশ্মিরের লাদাখ এলাকায় ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতে বুধবার বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দীর্ঘকালীন মিত্র পাকিস্তান।
বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক বিবৃতিতে বলেন, চীন আন্তরিকভাবে ও আলোচনার মাধ্যমে (সীমান্ত) ইস্যুটি সমাধান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। তবে ভারত এটিকে একই মনোভাবের সাথে গ্রহণ করেনি। যার ফলে এ অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যায়।