ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২০, ০৫:৩৪ এএম
লাদাখ সীমান্তে চীনকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে এমন দাবি করেন তিনি।
ভার্চুয়াল বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনা ঢুকতেই পারেনি। কোনো সেনা চকও দখল হয়নি। তবে আমাদের ২০ সেনা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সেনারা যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন তাতে চীনকে উচিত শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে সীমান্ত রক্ষা করতে যা যা করার দরকার তাই করছে ভারতীয় সেনারা।
চীনা হামলার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি বলেন, বীর সেনাদের ত্যাগ ব্যর্থ হতে দেবে না দেশ। ভারত শান্তি চায়। কিন্তু উস্কানি দিলে পাল্টা জবাব দেবে ভারত।
বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্বাভাবিক কার্যকলাপ হচ্ছে, এ ব্যাপারে কি কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না আমাদের কাছে? সরকার কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছে?
সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এই বৈঠক আরো আগে ডাকার দরকার ছিল। লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশের পর সরকারের উচিত ছিল বৈঠক ডাকা। দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই পাথরের মতো থাকবে গোটা দেশ। সামরিক বাহিনীর কর্মদক্ষতার প্রতি বিশ্বাস আছে কংগ্রেসের।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চীনের কাছে মাথা নোয়াব না। সেখানে গণতন্ত্র নেই। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। চীনকে হারাতে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে আছি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন, চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত। আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপির শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি।
এছাড়া তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও টিআরএস নেতা চন্দ্রশেখর রাও, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেডি সভাপতি ও ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার উপস্থিত ছিলেন।