ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২০, ১২:৪৬ পিএম
সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে এক যাত্রীর পাসপোর্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ইউরোপে পহেলা জুলাই থেকে ১৪টি 'নিরাপদ' দেশের নাগরিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
তবে এ তালিকা থেকে বাদ গেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে শীর্ষ দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের নাগরিকরা। এছাড়া চীনের নাগরিকও ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবে না।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভূক্ত করবে, যদি চীনের সরকারও একইভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।
নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে- আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া ও উরুগুয়ে।
ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সাথে 'এয়ার ব্রিজ' পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে। এর মানে হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকেরা ইউরোপের কোনো দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়।
আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি লক্ষ্য করে এই ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য। কারণ হচ্ছে ইউরোপের পর্যটন খাতের জন্য এই মৌসুমটি ব্যস্ততম। এ সময়ে লাখ লাখ লোক এ খাতে বিভিন্ন রকম কাজ করে।
নিরাপদ দেশের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে পরে আরো পরিবর্তন আসতে পারে বলা হয়েছে। ইইউয়ের এই নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা ও এর যোগ্যতা সম্পর্কে আজ মঙ্গলবারই (৩০ জুন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইইউভুক্ত রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অর্থাৎ অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের ৬৫ শতাংশের মতো, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে।
কিন্তু এর মধ্যে স্পেনের মতো দেশ যারা নিজেদের পর্যটন শিল্প আগের মতো অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু আবার কভিড-১৯ এ ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হবার কারণে তারা পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এমন দেশও রয়েছে, যারা এখনো দ্বিধান্বিত।
কিন্তু এ তালিকায় গ্রিস ও পর্তুগালের মতো দেশও রয়েছে এই তালিকায় যারা মূলত পর্যটনের আয়ে চলে, কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে ভীত নয়।- বিবিস