বরিশালে করোনা উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২০, ০৮:১১ এএম

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাদের চার জনের মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড এবং আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা একশত ছাড়িয়েছে। শুরু থেকে প্রায় সাড়ে ৩ মাসে এই হাসপাতালে মোট ১০৪ জনের মৃত্যু হলো। যার মধ্যে ৩৭ জন ছিলেন করোনা পজিটিভ।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এস.এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তিনি জানান, ‘সব শেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিমল নামের ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগরীর বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা রাম চরনের ছেলে। গত ১৩ জুন সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন তিনি। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে কভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। তবে উপসর্গ থাকায় তাকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মৃত্যু হয় জিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাস নামে ৭০ বছরের বৃদ্ধের। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজিপুর গ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। করোনা উপসর্গ নিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ভর্তির পর পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার আগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যু হয় সালেহা বেগম (৫৫) নামের এক রোগীর। তিনি পটুয়াখালী সদরের টাউন কালিকাপুড় এলাকার মোশারেফের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রায় সোয়া ৩ ঘণ্টা পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় করোনা আইসোলেশনে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আবুল কালাম আজাদ (৫০) নামের ব্যক্তি। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ইছলাদী এলাকার আব্দুল শফিজের ছেলে। গত ১ জুলাই বিকাল ৪টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. এসএম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রথম সবার শেষে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও বাকি তিন জনের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তারা আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh