করোনামুক্ত জোকোভিচ ও তার স্ত্রী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। আক্রান্ত হন তার স্ত্রী জেলেনাও। এক সপ্তাহ পরে জানা গেছে, দুই জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অবশেষে করোনামুক্ত হয়েছেন তাঁরা। আর এই খবর পাওয়ার পরেই কিছুটা স্বস্তিতে টেনিস দুনিয়া।

বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, জোকোভিচ বা জেলেনা কারো মধ্যেই উপসর্গ ছিলো না। কিন্তু রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশনে গিয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়া থেকে বেলগ্রেডে ফেরার পরেই আইসোলেশনে যান তাঁরা। সম্প্রতি তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

গত ২৩ জুন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন টেনিস তারকা গ্রিগর দিমিত্রভ। তার পরের দিনই জানা যায় আক্রান্ত হয়েছেন জোকোভিচ। আরো দুই টেনিস তারকা বোরনা করিক ও ভিক্টর ট্রইকিও আক্রান্ত হন কভিড ১৯-এ। জোকোভিচের কোচ গোরান ইভানিসেভিচও আক্রান্ত হন। জোকোভিচ ও জেলেনা করোনামুক্ত হলেও বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তাঁরা সবাই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনা সামনে আসার পরেই ভক্তরা বলতে থাকেন, ঝুঁকি ও সতর্কতা না নেয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে টেনিস দুনিয়ার একের পর এক তারকাকে। এর পিছনে কিছুটা হলেও দায়ী জোকোভিচ নিজেই। কারণ, তিনিই ক্রোয়েশিয়াতে আদ্রিয়া টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই খেলতে নামেন দিমিত্রভ। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের তোয়াক্কা করা হয়নি। গ্যালারি ভর্তি দর্শক ছিলো। খেলার শুরু ও শেষে হাত মেলাতেও দেখা যায় প্লেয়ারদের। সবাই বলেন, সংক্রমণকে বুড়ো আঙুল দেখাতে গিয়ে নিজেই সংক্রামিত হন জোকোভিচরা।

জোকোভিচরা টুর্নামেন্টের পরে নাইট ক্লাবে পার্টিও করেছিলেন বলে জানা যায়। ফলে সেই পার্টিতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। জোকোভিচের সমালোচনা করেন টেনিসপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিলো, এভাবে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের মধ্যে টুর্নামেন্টের আয়োজন করে সবার জন্য বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। দিমিত্রভ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন জোকার।

নিজে আক্রান্ত হওয়ার পর গত বুধবার সার্বিয়ার সবথেকে বেশি আক্রান্ত শহর নোভি পাজারে করোনার মোকাবিলায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছেন জোকোভিচ। এই মুহূর্তে সার্বিয়াতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের।