এমিতে মনোনয়নের রেকর্ড গড়লো নেটফ্লিক্স

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২০, ০৫:৩৮ পিএম

করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে যখন ব্যবসামন্দা, নেটফ্লিক্সের তখন রমরমা। প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারে ১৬০টি প্রাইমটাইম মনোনয়ন পেয়ে রেকর্ড গড়েছে তারা।

লকডাউনের শুরু থেকেই ঘরে বসে থাকা মানুষদের বড় একটা অংশের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম নেটফ্লিক্স। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে তাই নেটফ্লিক্স কোম্পানির শেয়ার রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছিল। অ্যামাজনের ব্যবসাও ভালো চলছিল।

করোনার কারণে ঘরবন্দি মানুষ নানা ধরনের অনলাইন পরিষেবার দিকে ঝোঁকার কারণেই মহামারির সময়েও প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবসা ক্রমশ ভালোর দিকে যেতে থাকে।

টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা এমিতেও চলছে সেই ধারা। এমির মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কন্টেন্ট স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সের সাফল্য রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো। মোট ১৬০টি প্রাইমটাইম মনোনেয়ন পেয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে তারা। ১০৭টি মনোনয়ন পেয়ে নেটফ্লিক্সের ঠিক পেছনেই রয়েছে এইচবিও।

মোট ২৬টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছে এইচবিওর জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়াচমেন’। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর থেকে চলছে বর্ণবাদবিরোধি ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। এ কারণে ‘ওয়াচমেন’ সিরিজের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।

করোনা সংকটে বিনোদন জগৎ প্রায় স্থবির। শুটিং বন্ধ, আসছে না কোনো নতুন ছবি। কিন্তু অনলাইনে বা টেলিভিশনের সামনে সময় কাটানো সময়, সুযোগ এখন অবারিত। এই পরিস্থিতিতেই জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁয়েছে নেটফ্লিক্স। ডিজনি+, অ্যাপল টিভির দর্শকও বেড়েছে। তবে নেটফ্লিক্সের জন্য অসাধারণ কাটছে বছরটা। 

টেলিভিশন অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অবশ্য মনে করেন, শুধু নেটফ্লিক্সের জন্য নয়, বছরটা আসলে সার্বিকভাবে টেলিভিশনের জন্যই দুর্দান্ত যাচ্ছে। বিনোদন শিল্পের নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও টেলিভিশনের জন্য অসাধারণ কাটছে বছরটা। 

প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারহচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অব টেলিভিশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস প্রদত্ত রাতে (রাত ৮:০০টা থেকে ১১:০০টা) টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানের ওপর একটি পুরস্কার।  এটিকে চলচ্চিত্রের একাডেমি পুরস্কার, সঙ্গীতের গ্র্যামি পুরস্কার, এবং মঞ্চের টনি পুরস্কারের সমান বলে ধরা হয়। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh